দ্য ডার্টি ওয়ার ইন কাশ্মীর:
ফ্রন্টলাইন রিপোর্টস
শুজাত বুখারি
১৫০.০০
লেফ্টওয়ার্ড
১৫ অগস্টের মতো দিনেও দেশের তেরঙা পতাকা দেখলে যদি এ দেশের কোথাও ভীতির সঞ্চার হয়, সেই জায়গার নাম কাশ্মীর। কাশ্মীর নিয়ে ভারত কী ভাবে, আর ভারত নিয়ে কাশ্মীর কী ভাবে, এই আলোচনা এখনও এ দেশে ঠিকমতো শুরুই হয়নি বলা চলে। যাঁরা শুরু করতে চেষ্টা করছেন বা করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে একটি বিশিষ্ট নাম শুজাত বুখারি। বললে ভুল হবে না, যে এই কারণেই তিনি আততায়ীর হাতে নিহত হয়েছেন ২০১৮ সালের ১৪ জুন, তাঁর কর্মস্থল রাইজ়িং কাশ্মীর সংবাদপত্র অফিস থেকে বেরনোর সময়। বুখারির কয়েকটি সাংবাদিক লেখাপত্র সংগ্রহ করে তৈরি হয়েছে বইটি।
এর ভূমিকা লিখেছেন সাংবাদিক আর বিজয়শঙ্কর— নির্ভীক সত্যকথন ছিল বুখারির বৈশিষ্ট্য। বুঝতে অসুবিধা হয় না, কেন তাঁর না থাকাটা অনেকের কাছেই সুবিধাজনক।
বুখারির যতগুলি লেখা এখানে গ্রথিত, সব ক’টিরই মূল প্রতিপাদ্য কাশ্মীরের বাস্তবের সঙ্গে দিল্লির ভাবনা ও কাজকর্মের বিরাট দূরত্ব। পাকিস্তানের অন্যায় মাথা গলানো নিয়ে তিনি বিরক্ত, হুরিয়তের ভূমিকায় উদ্বিগ্ন। কিন্তু সবচেয়ে ক্ষুব্ধ দিল্লিকে নিয়েই, কেননা ‘সত্তর বছর ধরে কাশ্মীরের মানুষ কী চান তাঁরা বুঝিয়ে দেওয়ার পরও দিল্লি বুঝতে পারেনি যে কাশ্মীর সঙ্কট আসলে একটা রাজনৈতিক সঙ্কট— তার একটা রাজনৈতিক সমাধান চাই।’
স্বপ্নাবেশ ও আত্মদ্রোহী অনর্গল ঘরোয়া ঈশ্বর
গৌতম ভরদ্বাজ
১০০.০০
সিগনেট প্রেস
বর্তমান সরকারের আমলে এই সঙ্কট অনেক বেড়েছে বলেই কাশ্মীরি তরুণদের উগ্রবাদের দিকে ঝোঁকও হুহু করে বাড়ছে, বলেন শুজাত। এক কথায় যদি বোঝাতে হয়, বিজেপি আমলে সঙ্কটবৃদ্ধির স্বরূপটাকে, তা হলে উত্তর তাঁর স্পষ্ট— সেনাবাহিনীর হাতে সম্পূর্ণত কাশ্মীরকে ছেড়ে দেওয়া, ‘কমপ্লিট ইমিউনিটি ফর দি আর্মি’। এটাই কাশ্মীরের ‘নিউ নর্মাল’।
শক্তি চট্টোপাধ্যায় রচনা করেছিলেন অনন্ত নক্ষত্রবীথি তুমি, অন্ধকারে। একটি মাত্র কবিতাই গোটা বইটিতে। প্রবালকুমার বসু রচনা করেছিলেন জন্মবীজ। কোনও এক পত্রিকার দফতরের গড়িমসির পর সে কবিতা, অর্থাৎ একটি কবিতারই একটি বই হিসেবে প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে। ২০২০-তে সিগনেট প্রেস থেকে প্রকাশ পেয়েছে গৌতম ভরদ্বাজের কাব্যগ্রন্থ স্বপ্নাবেশ ও আত্মদ্রোহী অনর্গল ঘরোয়া ঈশ্বর। অক্ষরবৃত্ত-মাত্রাবৃত্ত ছন্দ-সহ কথোপকথন এবং প্রথম পুরুষ-তৃতীয় পুরুষে রচিত এই ৪৮ পাতার কাব্যগ্রন্থ যে কোনও কবিতাপ্রেমীকে মুগ্ধ করবে। যখন কবি বলছেন, “আমি কাল্পনিক বিভাজন, পতিত-অক্ষম হিমশীতলতাক্রান্ত/ উৎসমুখহীন অনভিমুখ প্রবাহ, ক্লান্ত মহাবিশ্বের জগদ্দল মুক্তি...”। এই শব্দ এবং বাক্য ব্যবহার চিনিয়ে দেয় কবির কাব্যক্ষমতা। অন্যত্রও, অপ্রত্যাশিত শব্দের ব্যবহার মুগ্ধ করে। দীর্ঘ কবিতা ধরে রাখা কঠিন, সে ক্ষেত্রে গৌতম অভিষেকেই সফল। দেবাশিস সাহার প্রচ্ছদ অসাধারণ।