স্মৃতি নাট্যস্মৃতি
অশোক সেন
সম্পা: সৌরীন ভট্টাচার্য
৩৯৫.০০
সেরিবান
জ্ঞানচর্চার প্রতিটি পরিসরকে দীপ্ত করেছিল অশোক সেনের মনন। নাট্যজগৎও ব্যতিক্রম নয়, কাছ থেকে দেখেছেন বাংলা থিয়েটারের নানা বাঁক বদল। সে দেখা ফুটে উঠেছিল লেখায়, সৌরীন ভট্টাচার্য সম্পাদিত বইটি সেই লেখাগুলিকে মেলে ধরল। শম্ভু মিত্র, বিজন ভট্টাচার্যের মতো নাট্যব্যক্তিত্ব, নবান্ন অয়দিপাউস রক্তকরবী রাজা গালিলেও থেকে তিস্তাপারের বৃত্তান্ত-র মতো নাটক নিয়ে তাঁর ভাবনা। বইয়ের দ্বিতীয় অংশটি বিচিত্রগামী: কলকাতা ও তার আধুনিকতার এষণা, আবার সুশোভন সরকার, ভবতোষ দত্ত এবং কাছের ‘বন্ধু’দের নিয়ে লেখা, পরিবার যৌবন কর্মজীবনেরও স্মৃতিকথন।
নাট্যের ঘ্রাণ নাট্যের প্রাণ
ভবেশ দাশ
৭০০.০০
ঠিকঠিকানা
“নাট্যব্যক্তিত্বদের নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নানা সময়ে প্রকাশিত লেখা, দু’মলাটে। শিশিরকুমার ভাদুড়ি, শম্ভু মিত্র ও মোহিত চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে একাধিক লেখা, গিরিশচন্দ্র ঘোষ থেকে বাদল সরকার, শ্যামল ঘোষ, অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, কেয়া চক্রবর্তী, ঊষা গঙ্গোপাধ্যায়ের নাট্যজীবন, ভাবনা, দর্শন ও সমসময়— এই সব কিছুরই নিবিড় অবলোকন চোখে পড়ে পরিপাটি গদ্যে লেখা নিবন্ধগুলিতে। মনে করিয়ে দেয় ভুলে যাওয়া ‘পথের নাট্যকার’ দিগিন্দ্রচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।
বেড়ানোর ডায়েরি
দেবাশীষ দেব
৭৫০.০০
ভাষা ভেঞ্চার
দেবাশীষ দেব মানেই কি কার্টুন, বিচিত্রদর্শন মানুষের ভিড়ে উঁকি মারা বেড়াল? জলরঙে আঁকা তাঁর বেড়ানোর ছবি তুলনায় কম চেনা, অন্য স্বাদের। কেদার-বদ্রী থেকে পরেশনাথ, সেলেরিগাঁও থেকে রুশিকোন্ডা, চেনা-অচেনা নানান জায়গার ছবি এঁকেছেন দেবাশীষ। রং-তুলিতে, শব্দেও। বেড়ানোর ডায়েরি-তে খুঁজলে পাওয়া যাবে অজানা মজার খবরও— যেমন, আরাকু ভ্যালিতে গিয়ে ভুল বানানের পোস্টারে দেখা যে, কফি নাকি প্রথম আবিষ্কার করেছিল একটা ছাগল! যত্ন করে ছাপা বইটি সংগ্রহযোগ্য।
মাইকেল মধুসূদন
সম্পা: তাপস ভৌমিক
২৫০.০০
কোরক
জন্মদ্বিশতবর্ষের সূচনায় মধুসূদন-চর্চা। তাঁর সাহিত্যের বিষয় ও আঙ্গিক কী ভাবে আমূল পাল্টে দিয়েছিল বাংলা সাহিত্যের চালচিত্র, বিদেশি রচনারীতিকে দেশজ প্রকরণে ফেলে কী ভাবে বাংলা সাহিত্যকে পৌঁছে দিয়েছিলেন আধুনিকতায়, তার আলোচনা। তাঁর সঙ্গে তৎকালীন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের পারস্পরিকতা এবং ভারতীয় সাহিত্যে তাঁর প্রভাব নিয়ে আলোচনা, তাঁকে নিয়ে বিদ্যাচর্চা ও বইপত্রের হদিস, এ ছাড়াও রয়েছে মধুসূদনের গ্রন্থপঞ্জি ও জীবনপঞ্জি।
পাতালের চিরকুট
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়
৩৫০.০০
এবং অধ্যায়
“দস্তয়ভস্কি অনামী মানুষের জন্য চিরকুট রেখে গিয়েছিলেন... আমাদের মতো যাদের নাম সংসদের স্মরণীয় নাগরিকদের তালিকায় থাকবে না তাদের কী হবে?” এই আত্ম-প্রশ্ন সতত জেগে থাকে সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের কবিতাস্পর্শী গদ্যে। গত দু’দশকের ছোটবড় লেখা, স্মৃতি ও সত্তায় চলাচল: সুভাষ মুখোপাধ্যায় রামকিঙ্কর ঋত্বিক জীবনানন্দ সত্যজিৎ বিষ্ণু দে সলিল চৌধুরী সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, বাঙালির সমষ্টিস্মৃতির এক-একটি মাইলফলক পেরিয়ে যান লেখক। লিখনশৈলীটি মেশা স্বগতোক্তি স্মৃতিকথন সংলাপে।
অ্যানাইহিলেশন অব কাস্ট (জাতিবর্ণের বিলয়ন)
অনুবাদ: প্রসূন ধর
২০০.০০
সংবর্তক
অম্বেডকরের প্রধানতম রচনা। ইংরেজি ভাষণ হিসাবে লেখা হলেও এটি পাঠের সুযোগ আসেনি তাঁর, পরে পুস্তিকাকারে প্রকাশ ও জনসাধারণের মধ্যে প্রচার করেন। ভারতে জাতি-বর্ণ ব্যবস্থা নামের সামাজিক ব্যাধির উৎস সন্ধান ও বিশ্লেষণ করা এ রচনাটি প্রকাশের পর (১৯৩৬) আলোড়ন তুলেছিল, এ নিয়ে গান্ধী-অম্বেডকরের লিখন-প্রতিলিখনও গুরুত্বপূর্ণ অতি। মূল ইংরেজি রচনার, এবং পরিশিষ্টে গান্ধীর বক্তব্য ও অম্বেডকরের উত্তর সুন্দর বঙ্গানুবাদে তুলে ধরেছেন প্রসূন ধর। ‘বিলয়ন’ শব্দটি জরুরি সংযোজন।