Provident Fund

পিএফ থেকে টাকা তুললেই কি কর দিতে হবে? কী বলছে নিয়ম?

চাকরিজীবীদের মূল বেতনের একটি অংশ প্রতি মাসে পিএফ তহবিলে জমা হয়। সরকার বার্ষিক ভিত্তিতে জমা হওয়া অর্থের উপর সুদ দেয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০২৩ ১৪:৪৪
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিএফ) হল চাকরিজীবীদের জন্য বড় তহবিল সঞ্চয় এবং সংগ্রহের একটি দুর্দান্ত উপায়। চাকরিজীবীদের মূল বেতনের একটি অংশ প্রতি মাসে পিএফ তহবিলে জমা হয়। সরকার বার্ষিক ভিত্তিতে জমা হওয়া অর্থের উপর সুদ দেয়। চলতি অর্থবছরের জন্য সরকার ৮.১৫ শতাংশ সুদ নির্ধারণ করেছে। প্রয়োজনে পিএফ অ্যাকাউন্টধারীরা সহজেই তাঁদের অ্যাকাউন্টে জমা করা টাকা তুলতে পারেন। কিন্তু আপনি কি জানেন এই টাকা তোলার উপর কর দিতে হয়?

Advertisement

সাধারণত পিএফ অ্যাকাউন্টকে অবসর পরবর্তী পরিকল্পনা হিসেবেই ধরা উচিত। সম্ভব হলে অবসর গ্রহণের পরেই প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে টাকা তোলা উচিত। কারণ এই টাকা একসঙ্গে পাওয়া যায়, যা পরবর্তী জীবনে কাজে লাগতে পারে। তবে কখনও এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়, যখন পিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা না তুলে উপায় থাকে না। কিছু ক্ষেত্রে পিএফ থেকে তোলা টাকার উপরে করও দিতে হয়।

ইপিএফও -র নিয়ম অনুযায়ী, যদি আপনার পিএফ অ্যাকাউন্ট খোলার পর থেকে পাঁচ বছরের বেশি সময় হয়ে যায় এবং আপনি আপনার জমা থেকে কিছু টাকা তুলতে চান, তা হলে এই ক্ষেত্রে আপনাকে কোনও কর দিতে হবে না। কিন্তু যদি পাঁচ বছর না হয়, সে ক্ষেত্রে তোলা টাকার উপর কর দিতে হবে। তবে এই কর টিডিএসের মতো কাটা হয়। যদি পিএফ গ্রাহকের প্যান কার্ড অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিঙ্ক করা থাকে, সে ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কর কাটা হয়। অন্যথা ২০ শতাংশ কাটা হয়।

Advertisement

যদি আপনার আয় ন্যূনতম কর ধার্য আয়ের সীমার নীচে হয় তা হলে আপনি ফর্ম ১৫জি/১৫এইচ দাখিলের মাধ্যেমে কর থেকে অব্যাহতি পেতে পারেন।

তবে যদি কোনও চাকরিজীবী অসুস্থতার কারণে এই নির্দিষ্ট সময়ের আগে চাকরি ছেড়ে দেন এবং তার পিএফের টাকা তুলে নেন, তা হলে এই ক্ষেত্রে তাঁকে কর দিতে হবে না। যদি কোনও সংস্থা বন্ধ হয়ে যায়, তা হলে ওই সংস্থার কর্মচারীকে পিএফ থেকে টাকা তুলতে কোনও কর দিতে হবে না।

যদি আপনি আপনার পিএফ অ্যাকাউন্টের টাকা দিয়ে বাড়ি বা জমি কিনতে চান, সে ক্ষেত্রেও পাঁচ বছর পূর্ণ করলে তিনি টাকা তুলতে পারবেন। ইপিএফ অ্যাকাউন্টের জন্য একজন কর্মচারীর বেতন থেকে কমপক্ষে ১২ শতাংশ টাকা কেটে নেওয়া হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement