—প্রতীকী চিত্র।
মূল্যবৃদ্ধি চড়ার আশঙ্কায় যখন গোটা দেশ সন্ত্রস্ত, তখন অস্বস্তি বাড়াল শিল্পোৎপাদনও। জুনে তা ৩.৭% বাড়ল বটে। তবে তা গত বছরের একই সময়ের ১২.৬ শতাংশের তুলনায় অনেক কম। মে মাসের ৫.৩ শতাংশের থেকেও নীচে। তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এমনকি ২০২২-এর এপ্রিল-জুনে যেখানে শিল্প বৃদ্ধি ছিল ১২.৯%, সেখানে এ বছর ওই তিন মাসে বৃদ্ধির হার মাত্র ৪.৫%।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় হিসাব অনুযায়ী, মূলত কল-কারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধির ঝিমিয়ে থাকা হারই জুনের শিল্প বৃদ্ধিকে টেনে নামিয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, মোদী সরকার অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে দাবি করলেও তার সঙ্গে উৎপাদনের সাযুজ্য থাকছে না কেন? এর আগে গত মার্চে শিল্প বৃদ্ধির হার নেমেছিল ১.৯ শতাংশে।
সরকারি মহলের দাবি, গত বছরের জুনে উৎপাদন বৃদ্ধির চড়া হারের সঙ্গে তুলনায় এ বারের হিসাব এতটা কম দেখাচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রধানত কল-কারখানায় উৎপাদন বাড়লে শিল্প বৃদ্ধির চাকায় গতি আসে। বেকারত্ব কমে। অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ায়। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, গত জুনে কারখানায় উৎপাদন বেড়েছে মাত্র ৩.১%। আগের বছর বেড়েছিল ১২.৯%। বিদ্যুৎ ও মূলধনী পণ্যেও উৎপাদন বৃদ্ধির হার অনেকটা কমেছে। বেড়েছে শুধু পরিকাঠামোয়। দীর্ঘমেয়াদি ভোগ্যপণ্যে সঙ্কুচিত।
আর্থিক বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ দত্ত বলছেন, ‘‘কল-কারখানায় উৎপাদন এখনও হোঁচট খাচ্ছে। কারণ, বিশ্ব বাজারে চাহিদা কম থাকায় রফতানি কম হচ্ছে। দেশীয় বাজারেও বিক্রি ঢিমে। ফলে উৎপাদন কমিয়ে দিচ্ছে সংস্থাগুলি। তার উপর মূল্যবৃদ্ধিকে রুখতে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লাগাতার সুদ বাড়ানোয় তাদের মূলধন জোগাড়ের খরচও বেড়েছে। অনির্বাণের কথায়, ‘‘শিল্পে এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে কর্মী নিয়োগ আরও ধাক্কা খাবে। বাড়বে বেকারত্ব।’’