রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। —ফাইল চিত্র
সম্প্রতি জানা গিয়েছে সহজে ব্যবসা করার (ইজ় অব ডুয়িং বিজ়নেস) মাপকাঠিতে ভারত কতটা উন্নতি করেছে তা যাচাই করতে এখন থেকে কলকাতার পরিস্থিতিও খতিয়ে দেখবে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। শনিবার রাজ্যের অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র জানালেন, এ বার সেই কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলের পণ্য পরিবহণ (লজিস্টিক) পরিকাঠামো উন্নয়নেই পুঁজি ঢালবে ওই আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাটি। ঋণের অঙ্ক ২১০০ কোটি টাকা।
পরিকল্পনার রূপরেখা চূড়ান্ত করতে আগামী সপ্তাহেই বৈঠকে বসবে রাজ্য ও বিশ্ব ব্যাঙ্ক। এ দিন পশ্চিমবঙ্গের লজিস্টিক পরিকাঠামো নিয়ে এক আলোচনাসভায় অমিতবাবু জানান, ঋণ প্রস্তাব ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের আর্থিক বিষয়ক বিভাগের সায় পেয়েছে।
অমিতবাবুর দাবি, এটি বাণিজ্যিক ঋণ নয়। বিশ্ব ব্যাঙ্ক রাজ্যকে তা দেবে অতি সহজ ও সুবিধাজনক শর্তে, কম সুদে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, উন্নয়নের তালিকায় আছে সড়ক পরিবহণ, বন্দর ইত্যাদি। তিনি জানান, এর পাশাপাশি রাজ্যে শিল্প তালুক, লজিস্টিক হাব, এসইজেড-সহ শিল্প পরিকাঠামো উন্নয়নেও আগ্রহ দেখিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক।
অর্থমন্ত্রীর মতে, পুঁজি জোগানোয় এই উৎসাহের উদ্দেশ্য একাধিক। যার মধ্যে অন্যতম, রাজ্যে কর্মসংস্থান বাড়ানো ও সহজে ব্যবসার মাপকাঠিতে উন্নতির জন্য পরিকাঠামো তৈরিতে কলকাতাকে সাহায্য করা। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৭টি রাজ্য ছাড়াও নেপাল, বাংলাদেশ, মায়ানমার ও ভুটানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষায় রাজ্যের বড় ভূমিকা থাকাও একটি কারণ।
এ দিন অমিতবাবুর দাবি, তাঁদের সরকার ক্ষমতায় আসার পরে রাজ্যের পরিকাঠামো উন্নয়নে খরচ পাঁচ গুণ বেড়েছে। ২০১১ সালে যা ছিল ১৭৫৮ কোটি টাকা, তা-ই ২০১৮-তে হয়েছে ৯৫৫৩ কোটি। রাজ্য ও বেসরকারি সংস্থা মিলে পরিকঠামোয় কাজ পেয়েছেন ১.২৬ লক্ষ।