প্রতীকী ছবি।
অতিমারির কবলে পড়ে দেশের অর্থনীতি যখন থমকে গিয়েছিল, তখন কাজ হারিয়েছিলেন বহু মানুষ। রোজগার কমেছিল অনেকের। তারই মধ্যে যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন মহিলারা, তা-ও উঠে এসেছিল বিভিন্ন সমীক্ষায়। এখন করোনা সংক্রমণ মাথা নামানোর পরে কাজের পরিবেশ কিছুটা স্বাভাবিক হলেও সেই মহিলাদেরই কাজে ফিরতে সবচেয়ে বেশি বেগ পেতে হচ্ছে। কাজের প্রকৃতিতে নমনীয়তা চাইলেও সংস্থাগুলির তরফে সেই সহযোগিতা যে বিরল, তা স্পষ্ট হয়েছে পেশাদার সামাজিক মাধ্যম লিঙ্কডইনের এক সমীক্ষা রিপোর্টে। সেখানে জানানো হয়েছে, মহিলাদের কাজে ফিরতে সমস্যা তো হচ্ছেই, চাকরি ছেড়েও দিতে চাইছেন অনেকে।
২২৬৬ জন পেশাদারের মধ্যে সম্প্রতি সমীক্ষাটি চালিয়েছে লিঙ্কডইন। সেখানে স্পষ্ট হয়েছে, কাজের নমনীয়তার দাবি তুললে বাড়ছে বেতন হ্রাস, বৈষম্য, পদোন্নতি আটকে যাওয়ার আশঙ্কা। এই অবস্থায় চলতি বছরে অনেকে মহিলাই হয় কাজ ছেড়ে দিয়েছেন, নয়তো ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন। চাকরিতে ফিরতেও অসুবিধার মুখে পড়তে হচ্ছে অনেককে। এর জন্য চাকরিদাতাদের মানসিকতাকেই দায়ী করেছেন অধিকাংশ পেশাদার। সমীক্ষায় প্রায় ৮৩% মহিলা জানিয়েছেন, করোনা পরবর্তী সময়ে পরিবারকে সময় দেওয়া এবং কাজের ভারসাম্য থাকবে, এমন এক নমনীয় শর্তেই তাঁরা কাজ করতে চান। যে সমস্ত সংস্থা এই সুবিধা দিতে চায় না, তাদের সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন ৭২%। একই কারণে কাজ ছেড়েছেন বা ছাড়ার কথা ভাবছেন প্রায় ৭০%।
লিঙ্কডইন আধিকারিক রুচি আনন্দ বলেন, ‘‘প্রতিভা হারাতে না চাইলে সংস্থাগুলিকে শর্ত বদলাতে হবে।’’