—প্রতীকী ছবি।
গত তিন মাসে সর্বনিম্ন। নভেম্বরে পাইকারি মূল্য সূচকের (হোলসেল প্রাইস ইনডেক্স বা ডব্লুপিআই) মুদ্রাস্ফীতির হার নামায় মিলেছে স্বস্তি। এর জেরে বড়দিনের মুখে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা। এর মধ্যে শীতের সব্জি সবচেয়ে সস্তা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।
সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর পাইকারি মূল্য সূচকের মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করে কেন্দ্র। সেখানে বলা হয়েছে, চলতি বছরের নভেম্বরে ডব্লুপিআই দাঁড়িয়েছিল ১.৮৯ শতাংশে। গত তিন মাসের নিরিখে এই সূচক সর্বনিম্ন হওয়ায় যথেষ্ট স্বস্তি পেয়েছেন অর্থ মন্ত্রকের কর্তা-ব্যক্তিরা। অক্টোবরে ডব্লুপিআইয়ের মূল্যবৃদ্ধির অঙ্ক ছিল ২.৩৬ শতাংশ। সরকারের দাবি, নভেম্বরে খাদ্যদ্রব্য বিশেষত সব্জির দাম কমায় এই ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতির হার কমেছে।
গত বছরের (পড়ুন ২০২৩) নভেম্বরে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল মাত্র ০.৩৯ শতাংশ। সেই তুলনায় এ বছর সূচক অনেকটা বেশি থাকায় কেন্দ্রের উদ্বেগ বেড়েছে। শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘সর্বভারতীয় পাইকারি মূল সূচকের মুদ্রাস্ফীতির হারের উপর সার্বিক ভাবে বার্ষিক মূল্যবৃদ্ধির হার নির্ভর করবে। নভেম্বরে এই সূচক নিম্নমুখী হলেও গত বছরের তুলনায় সেটি বেশি রয়েছে।’’
সরকারি তথ্য বলছে, নভেম্বরে খাদ্যে মুদ্রাস্ফীতির হার ৮.৬৩ শতাংশে নেমে এসেছে। অক্টোবরে এই অঙ্ক ১৩.৫৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছিল। সব্জির দামের ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ এই দুই মাসে থেকেছে যথাক্রমে ৬৩.০৪ এবং ২৮.৫৭। ফলে নভেম্বরে অনেকটা সস্তায় সব্জি কিনতে পেরেছে আমজনতা।
অন্য দিকে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে নভেম্বরে বেড়েছে মুদ্রাস্ফীতির হার। অক্টোবরের ৫.৭৯ শতাংশের তুলনায় নভেম্বরে এই সূচক ৫.৮৩ শতাংশে গিয়ে পৌঁছেছে। উৎপাদন ক্ষেত্রে নভেম্বরে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল দুই শতাংশ। অক্টোবরে এই ক্ষেত্রে ১.৫০ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছিল।