— প্রতীকী চিত্র।
উৎসবের মরসুমে রেকর্ড উচ্চতায় ওঠার পর থেকে ক্রমশ নেমেছে সোনার দাম। এই মুহূর্তে ১০ গ্রাম পাকা সোনা ঘোরাফেরা করছে ৭৭,০০০ টাকার আশেপাশে। তবে তাতে স্বস্তি দেখছে না স্বর্ণ শিল্প মহল। বরং তারা তাকিয়ে দু’টি বিষয়ের দিকে। প্রথমত, আমেরিকায় শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারাল রিজ়ার্ভ সুদের হার কমায় কি না। দ্বিতীয়ত, সে দেশে প্রেসিডেন্ট হিসেবে জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পরে বিশ্বের আর্থিক ও ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়। শিল্পের মতে, এই দু’টি ঘটনা সোনার দামে প্রভাব ফেলবে। সেটা হলে অদূর ভবিষ্যতে ধাতুটির দাম বাড়ার সম্ভাবনা বেশি বলেই ধারণা তাদের।
শনিবার কলকাতায় ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারাট খুচরো পাকা সোনা ৬০০ টাকা কমে হয়েছে ৭৭,২০০ টাকা। গয়নার সোনাও (২২ ক্যারাট) ৫৫০ টাকা কমে ৭৩,৪০০ টাকা। কেজিতে রুপোর বাট ৮০০ টাকা নেমে ঠেকেছে ৮৯,৬৫০ টাকায়। জিএসটি যোগ করলে সব দামই কিছুটা বেশি।
তবে এই দাম বেশি দিন স্থায়ী হবে বলে মনে করেন না ন্যাশনাল জেম অ্যান্ড জুয়েলারি ডোমেস্টিক কাউন্সিলের ডিরেক্টর সমর দে। তিনি বলেন, ‘‘১৭-১৮ ডিসেম্বর ফেড ঋণনীতিতে অন্তত ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমাতে পারে। সেটা হলে সোনায় লগ্নি বাড়ায় বিশ্ব বাজারে তার দাম চড়বে। প্রভাব পড়বে ভারতেও।’’ যদিও সোনার গয়নার পাইকারি ব্যবসায়ী চিত্তরঞ্জন পাঁজার বক্তব্য, “ট্রাম্প বহুবার যুদ্ধ বন্ধের কথা বলেছেন। যুদ্ধ হলে অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। তাতে সোনাকে লগ্নির নিরাপদ গন্তব্য হিসেবে বেছে নেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে দামও বাড়ে। তাই ট্রাম্প যুদ্ধ থামাতে পারলে সোনার দাম কমবে।’’
কিন্তু যুদ্ধ থেমে সোনার দাম কমার পরিস্থিতি এখনই তৈরি হওয়া সম্ভব নয় বলেই মত সমরবাবুর। তাঁর কথায়, “সেটা হতে অনেক বেশি সময় লাগবে। অথচ ফেড সুদ কমালে পরের মাস থেকেই দাম বাড়বে।’’ তা ছাড়া ডিসেম্বরে বড়দিন-সহ বিভিন্ন ছুটিতে সারা পৃথিবীতেই গয়নার চাহিদা বাড়ে। এই সব কারণে আপাতত সোনার দাম কমলেও, তা বেশি দিন স্থায়ী হবে না বলেই ধারণা স্বর্ণ শিল্পের।