CPI Inflation

ভোগ্যপণ্য মূল্য সূচকে মুদ্রাস্ফীতি কমার ইঙ্গিত, শীতের সব্জি ঢোকায় সস্তা হবে বাজার?

শীতের সব্জি বাজারে আসায় ধীরে ধীরে সস্তা হচ্ছে খাদ্যদ্রব্যের দাম। ফলে ভোগ্য পণ্য মূল্য সূচকের মুদ্রাস্ফীতি কমার ইঙ্গিত দিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করল ব্যাঙ্ক অফ বরোদা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:৩২
Share:

—প্রতীকী ছবি।

ভোগ্যপণ্য মূল্য সূচকের (কনজ়িউমার প্রাইস ইনডেক্স বা সিপিআই) মুদ্রাস্ফীতি কেন্দ্রের কপালে ফেলেছে চিন্তার ভাঁজ। বছরের শেষে এই ইস্যুতে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ করল ব্যাঙ্ক অফ বরোদা (বিওবি)। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কটির দাবি, চলতি আর্থিক বছরে (পড়ুন ২০২৪-২৫) এই সূচক ৪.৭ থেকে ৪.৮ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে। সিপিআইয়ের এই অঙ্ককে যথেষ্ট স্বস্তিজনক বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতির হার কমবে বলে মনে করছে ব্যাঙ্ক অফ বরোদা কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক বিশ্বে বিভিন্ন পণ্যের দামে স্থিতিশীলতা এসেছে বলেও সংশ্লিষ্ট রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

Advertisement

বিওবির রিপোর্ট অনুযায়ী, শীতের শুরুতেই বাজারে নতুন আলু, পেঁয়াজ ও টম্যাটো ঢুকতে শুরু করেছে। মান্ডিগুলিতে সব্জির সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম সূচক নিম্নমুখী হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়ার কারণে রবি ফসলের উৎপাদন ভাল হয়েছে। খাদ্য মুদ্রাস্ফীতির সূচককে টেনে নামানোর ক্ষেত্রে এটি বড় ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করা হচ্ছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কটির ডিসেম্বরের রিপোর্টে মিলেছে সেই ইঙ্গিত।

ব্যাঙ্ক অফ বরোদার আর্থিক অবস্থার সূচক (ইকোনমিক কনডিশানস ইনডেক্স) অনুযায়ী, ডিসেম্বরে ন্যূনতম পরিণামগত মূল্যবৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছে। এ বছরের নভেম্বরে এটি ছিল ০.৪ শতাংশ। কিন্তু ডিসেম্বরে তা ০.১ শতাংশে নেমে এসেছে। মুদ্রাস্ফীতির এই অনুকূল প্রবণতার জেরে আগামী দিনে মুদ্রানীতিতে বড় বদল আনতে পারে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা আরবিআই। বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় আর্থিক নীতির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের কিছুটা সহনশীল অবস্থান নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কটির রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, এ বছরের অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বরে কিছুটা নেমে যায় ভোগ্য পণ্যের মূল্য সূচক। অক্টোবরে সিপিআই ছিল ৬.২ শতাংশ। নভেম্বরে সেটাই নেমে ৫.৫ শতাংশে চলে আসে। এর নেপথ্যে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য হ্রাসকে চিহ্নিত করেছেন তাঁরা। বিওবি জানিয়েছে, নভেম্বরে সব্জি মুদ্রাস্ফীতির হার নেমে ২৯.৩ শতাংশে চলে গিয়েছিল। অক্টোবরে এটি দাঁড়িয়েছিল ৪২.২ শতাংশে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, মূল্যবৃদ্ধির সূচক নিম্নমুখী হওয়ায় ডাল, বিভিন্ন ধরনের ফল ও অন্যান্য খাদ্যশস্যের দামে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছে আমজনতা। খারিফ শস্য উৎপাদন ভাল হওয়ায় এগুলির দর কমেছে। নভেম্বরে খাদ্য ও জ্বালানির মূল মুদ্রাস্ফীতি বাদ দিলে বাকি ক্ষেত্রগুলির মূল্যবৃদ্ধির সূচক ৩.৭ শতাংশেই আটকে ছিল। অন্য ক্ষেত্রগুলিতে আবার চাহিদা হ্রাসের প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে।

অক্টোবরের উৎসবের মরসুমে গৃহস্থালি পণ্য ও পরিষেবা ক্ষেত্রে দামের উত্থানপতন হলেও পোশাক বা জুতোর দরের তেমন কোনও পরিবর্তন হয়নি। তবে যথেষ্টই ওঠানামা করছিল সোনার দাম। মাস থেকে মাসের হিসাবে প্রথম বার সিপিআইয়ের মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পায় এ বছরের জানুয়ারিতে। খাদ্য মুদ্রাস্ফীতির হার অক্টোবরে ছিল ২.৬ শতাংশ। নভেম্বরে তা কমে ০.৬ শতাংশে চলে আসে বলে জানিয়েছে ব্যাঙ্ক অফ বরোদা কর্তৃপক্ষ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement