—প্রতীকী ছবি।
বাড়ির অন্দরসজ্জা তো বটেই, বিয়ে-সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সাজানোর অন্যতম উপকরণ হিসেবেও বাড়ছে অর্কিডের চাহিদা। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এ রাজ্যে বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু জায়গায় তার চাষ হয়। তবে গুণগত মান তেমন উন্নত নয়। চাহিদার তুলনায় জোগানও কম। এই পরিস্থিতিতে চাষিদের অর্কিড উৎপাদনে উৎসাহ দেওয়ার প্রকল্প হাতে নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের উদ্যানপালন বিভাগ। এই ধরনের চাষে যে বিশেষ পরিকাঠামো (পলিহাউজ়) লাগে, এতে তা গড়ে তুলতেও সাহায্য করা হবে। লক্ষ্য, অর্কিডের সম্ভাবনাময় বাজার দখল।
রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং উদ্যানপালন বিভাগের প্রধান সচিব সুব্রত গুপ্ত জানান, তাইল্যান্ড থেকে সাত-আট প্রজাতির ৮৫ রকমের অর্কিড আমদানি করেছে দফতর। বড় আকারে উৎপাদনের পরিকল্পনা। আপাতত জলপাইগুড়ির মোহিতনগরে উদ্যানপালন বিভাগের কেন্দ্রে বড় করা হবে অর্কিডগুলি। আগামী কাল সেখানেই প্রকল্পটি উদ্বোধন করবেন বিভাগীয় মন্ত্রী মহম্মদ গুলাম রব্বানি।
অর্কিড চাষের জন্য দার্জিলিং, কালিম্পঙে উদ্যানপালন দফতরের ডিরেক্টরেট অব সিঙ্কোনার ২১টি পলিহাউজ়-কেও চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই সব অর্কিডের ফুল বিক্রি করবে রাজ্য। ওই দুই জেলার সঙ্গে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে চাষিদের গাছগুলির চারা দেওয়ার পাশাপাশি জরুরি প্রশিক্ষণও দেবে রাজ্য।