WBSEDCL

নিয়মে কড়া বণ্টন সংস্থা

বণ্টন সংস্থায় প্রায় ২৮,০০০ পেনশনভোগী রয়েছেন। স্টেট ব্যাঙ্ক, ইউবিআই এবং সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক মারফত তাঁদের পেনশন দেওয়া হয়।

Advertisement

পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:৩৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

অবসরপ্রাপ্ত বিদ্যুৎ কর্মীদের পেনশন অ্যাকাউন্ট বদলের নিয়ম নিয়ে নতুন নির্দেশ দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। কড়া পদক্ষেপ করেছে বিদ্যুৎ কর্মীদের সার্ভিস বুকের তথ্য সম্পূর্ণ করা নিয়েও।

Advertisement

সম্প্রতি বণ্টন সংস্থা বলেছে, কোনও পেনশনভোগী তাঁর পেনশন অ্যাকাউন্ট একটি ব্যাঙ্ক থেকে সরিয়ে অন্য ব্যাঙ্কে নিয়ে যেতে চাইলে, পুরনো ব্যাঙ্কটির এনওসি সংস্থার কাছে জমা দিতে হবে। যাতে বোঝা যায় অ্যাকাউন্ট সরানোয় আগের ব্যাঙ্কটির আপত্তি নেই। কর্তৃপক্ষের দাবি, এক শ্রেণির পেনশনভোগী যে ব্যাঙ্কে পেনশন পান, সেখান থেকে ব্যক্তিগত কারণে ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু তা শোধ না-করে অন্য ব্যাঙ্কে পেনশন অ্যাকাউন্ট সরিয়েছেন। ফলে ঋণ আদায়ে সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক। এই জটিলতা আটকাতেই নতুন নিয়ম আনা হয়েছে।

বণ্টন সংস্থায় প্রায় ২৮,০০০ পেনশনভোগী রয়েছেন। স্টেট ব্যাঙ্ক, ইউবিআই এবং সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক মারফত তাঁদের পেনশন দেওয়া হয়।

Advertisement

এক ঝলকে

• অভিযোগ, পেনশনভোগী বিদ্যুৎ কর্মীদের অনেকে যে ব্যাঙ্কে পেনশন অ্যাকাউন্ট, সেখান থেকে ঋণ নিচ্ছেন। কিন্তু তা শোধের আগেই অন্য ব্যাঙ্কে পেনশন অ্যাকাউন্ট সরিয়ে নিচ্ছেন। ফলে ঋণের টাকা পেতে সমস্যায় পড়ছে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক।
• অনেক ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক পেনশন থেকে ঋণের টাকা কেটে তাদের মেটাতে আর্জি জানাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কাছে।
• বণ্টন সংস্থার নির্দেশ, কোনও ব্যাঙ্কে পেনশন অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে অন্য ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলতে তাদের কাছে আগের ব্যাঙ্কের এনওসি দিতে হবে।
• সব বিদ্যুৎ কর্মীর সার্ভিস বুক সংক্রান্ত তথ্য ৩১ জানুয়ারির মধ্যে শুধরে দিতে নির্দেশ দেওয়া
হয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতরকে।
• সংস্থার অভ্যন্তরীণ অডিট বলেছে, বহু ক্ষেত্রেই সেই কাজে গাফিলতি হচ্ছে। বিশেষত ছুটি সংক্রান্ত তথ্য অনেক সময় সার্ভিস বুকের সঙ্গে মিলছে না।

বিদ্যুৎ কর্মীদের সার্ভিস বুক নিয়েও কড়া হয়েছে বণ্টন সংস্থা। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সকলের সার্ভিস বুকে চাকরি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ঠিক করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতরকে। সূত্রের দাবি, সংস্থার অভ্যন্তরীণ অডিট ও রাজ্যের অডিটে বহু ক্ষেত্রে সেই কাজে গাফিলতি ধরা পড়েছে। সময়ে ভুল সংশোধন না-করা গেলে, এ বার তার কারণ জানাতে হবে। জানতে চাওয়া হতে পারে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের নামও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement