রাষ্ট্রপুঞ্জ। —ফাইল চিত্র।
আর্থিক কর্মকাণ্ডের গতি বৃদ্ধিকে কারণ হিসেবে দেখিয়ে চলতি অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস বাড়িয়েছে অনেক সংস্থা। এ বার ক্যালেন্ডারবর্ষে (২০২৪) বৃদ্ধির পূর্বাভাস বাড়াল রাষ্ট্রপুঞ্জ। জানাল, সরকারি এবং ব্যক্তিগত খরচের কাঁধে ভর করে এ বছর তা ৭ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে। পাশাপাশি, পশ্চিমের উন্নত দেখগুলির কাছে ভারত বিনিয়োগের বিকল্প জায়গা হিসেবে উঠে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের আধিকারিক। তবে বিশ্ব অর্থনীতির অনিশ্চয়তার জন্য বাণিজ্য এবং তেলের দাম ঘিরে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে, ভারতের অর্থনীতির উপরে তার সম্ভাব্য বিরূপ প্রভাব এখনও উড়িয়ে দেওয়ার সময় আসেনি বলেও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।
আজ বছরের মধ্যবর্তী সময়ের ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ইকনমিক সিচুয়েশন অ্যান্ড প্রসপেক্টস’ শীর্ষক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। সেখানে বলা হয়েছে, ‘‘২০২৪ সালে ভারতের বৃদ্ধির পূর্বাভাস বাড়িয়ে ৬.৯% করা হল। ২০২৫ সালে তা হতে পারে ৬.৬%। বিপুল সরকারি খরচ এবং ব্যক্তিগত চাহিদা অর্থনীতির গতি বাড়াতে পারে। যদিও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখনও চাহিদার উন্নতি না হওয়ায় পণ্য রফতানি ঘিরে দুশ্চিন্তা দূর হচ্ছে না। ওষুধ এবং রাসায়নিকের রফতানির অবশ্য উন্নতি হতে পারে।’’ একই সঙ্গে রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধির জেরে ভুগতে পারে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতি। ভারত যার বাইরে নয়। উল্লেখ্য, জানুয়ারির রিপোর্টে এ বছর ৬.২% বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছিল। পরের বছরের পূর্বাভাস অবশ্য অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টে উল্লেখ, ভারতে শ্রমের বাজারের সূচকগুলিতেও উন্নতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। শ্রমের বাজারে যোগদানের অনুপাতও বেড়েছে। সম্প্রতি যে দাবি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রকের রিপোর্টেও। যদিও সেখানে শহরাঞ্চলে বেকারত্বের হার দেখানো হয়েছে ৬.৫%। যা কম উদ্বেগের নয় বলে মত বিশেষজ্ঞ মহলের। সেই সঙ্গে গড় মূল্যবৃদ্ধি ২০২৩ সালের ৫.৬% থেকে ২০২৪ সালে ৪.৫ শতাংশে নামতে পারে। কমতে পারে রাজকোষ ঘাটতি।