প্রতীকী ছবি।
দাবি উঠছিল বহু দিন ধরেই। এ বার বিমান সচিব রাজীব বনসল ডিসেম্বরের শেষে ভারতে আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার ইঙ্গিত দেওয়ায় আশায় বুক বাঁধছে দেশের পর্যটন শিল্প।
গত বছর করোনা যুঝতে জারি হওয়া লকডাউনে বন্ধ হয়েছিল বিমান পরিষেবা। পরে ঘরোয়া উড়ান আগের মতোই চালু হয়েছে। কিন্তু কিছু দেশের সঙ্গে জৈব বলয় (বায়ো বাব্ল) চুক্তির ফলে তা খুললেও, আন্তর্জাতিক উড়ান কার্যত নগণ্য। টিকিটের দামও চড়া। তাই পর্যটন শিল্প চায় উড়ান কবে থেকে স্বাভাবিক হবে, তা দ্রুত ঘোষণা করুক কেন্দ্র। সব উড়ান প্রথমেই চালু হবে কি না, টিকিটের দাম কমবে কি না, তা-ও স্পষ্ট করা হোক। যাতে ভারত থেকে বিদেশে যেতে ও বিদেশ থেকে এখানে আসতে আগ্রহী পর্যটকেরা ভ্রমণের পরিকল্পনা করতে পারেন। আর তার হাত ধরে আয় হয় বিদেশি মুদ্রা।
পর্যটন শিল্প অবশ্য বলছে, শুধু করোনা নয়, তারও আগে থেকেই ব্যবসা ধাক্কা খাচ্ছিল। আর অতিমারির জের কাটিয়ে সব শেষে তা খুললেও আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধের কারণে বিদেশি পর্যটক প্রায় আসছেন না। ফলে পর্যটন, হোটেল, গাড়ি-সহ বিভিন্ন পরিবহণের (যেমন, উট) সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলি মার খাচ্ছে। এখন প্রায় সব ক্ষেত্র খুলেছে। তাই আন্তর্জাতিক বিমান চালানোর দাবি তুলছে তারা।
বিদেশিদের ভারত ভ্রমণে যুক্ত শিল্পের সংগঠন আইএটিও-র প্রেসিডেন্ট রাজীব মেহরা জানান, গত ১৫ নভেম্বর থেকে ভারত ই-পর্যটন ভিসা দিতে শুরু করায় প্রাক্-করোনা পর্বের ১% ব্যবসা এখন মিলছে। বুধবার কেন্দ্রের ইঙ্গিতে তাই সুড়ঙ্গ শেষে আলোর দিশা দেখছেন সংগঠনের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট প্রণব সরকার। আর ভারতীয়দের বিদেশ ভ্রমণের ব্যবসায় যুক্ত শিল্পের সংগঠন ওটিওএআই-এর প্রেসিডেন্ট রিয়াজ় মুন্সীর কথায়, ১০%-১৫% ব্যবসা হচ্ছে। উড়ান স্বাভাবিক হলে দেশে ও বিদেশে, উভয় ক্ষেত্রেই পর্যটন বাড়বে।
তবে শিল্পের মতে, বিদেশিরা ভারত ভ্রমণের পরিকল্পনা করতে দেড়-দু’মাস নেন। ফলে বড়দিনের মরসুম ইতিমধ্যেই হারিয়েছে তারা। তাই নতুন বছরের মরসুমের বাজার ধরাই এখন লক্ষ্য। আইএটিও-র আর্জি, ব্রিটেন ও কানাডার পর্যটকদের জন্যও ই-ভিসা চালু করুক কেন্দ্র। সেই সঙ্গে দু’টি প্রতিষেধক নেওয়া থাকলে এবং বিমান ছাড়ার আগে আরটিপিসিআর পরীক্ষা ছাড়া পর্যটকদের যেন অন্য বিধির ফাঁসে পড়তে না-হয়, তা নিশ্চিত করা হোক। তবে সব চেয়ে আগে স্বাভাবিক হোক আন্তর্জাতিক উড়ান।