তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার। —ফাইল চিত্র।
বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের হিসাবের খাতা থেকে অনাদায়ি ঋণ মোছা নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার। দাবি করলেন, অর্থ মন্ত্রকের হিসাব বলছে মোদী জমানায় গত ৯ বছরে ১৪.৫ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ মুছে ফেলা হয়েছে। সেখানে ইউপিএ জমানার ১০ বছরে মুছে ফেলা ঋণের অঙ্ক ছিল অনেক কম, ২.০৭ লক্ষ কোটি টাকা।
মঙ্গলবার কেন্দ্র সংসদে জানিয়েছে, গত পাঁচ অর্থবর্ষে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি মোট ১০.৫৭ লক্ষ কোটি টাকার অনাদায়ি ঋণ হিসাবের খাতা থেকে মুছেছে। এর মধ্যে ৫.৫২ লক্ষ কোটি বড় সংস্থার। বুধবার অর্থ মন্ত্রকের সঙ্গে চালাচালি হওয়া একগুচ্ছ চিঠি এবং পাল্টা চিঠি তুলে ধরে জহরের কটাক্ষ, কেন্দ্র স্বীকার করছে ন’বছরে কর্পোরেট সংস্থা এবং প্রতারণার শিকারের ফলে মোছা হয়েছে ১০ লক্ষ কোটি।
কেন্দ্র অবশ্য বরাবরই দাবি করে আসছে, মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে অনুৎপাদক সম্পদ চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর অঙ্গ হিসেবে পুঁজিকে শক্তিশালী করার জন্য হিসাবের খাতা পরিষ্কার করে ব্যাঙ্কিং মহল। এর অর্থ ঋণ মাফ করা নয়। যদিও মুছে দেওয়া সেই ঋণ ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের সাফল্য উল্লেখযোগ্য কিছু নয় বলেই দাবি বিরোধী-সহ বিভিন্ন মহলের।
জহর বলেন, কর্পোরেটের ৭.৪১ লক্ষ কোটির ঋণ মোছা হয়েছে। সঙ্গে প্রায় ১.০৫ লক্ষ কোটি গিয়েছে জালিয়াতিতে। এ ভাবেই প্রধানমন্ত্রী ‘নিঃশব্দে’ কর্পোরেটগুলির সুবিধা করে দিয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে বেদান্ত, জ়ি, টাটা, আর্সেলরমিত্তল, রিলায়্যান্স, জেএসডব্লিউ প্রভৃতি। যেখানে সাধারণ মানুষের কৃষি, বাড়ি-গাড়ির মতো খুচরো ঋণ মোছার ভাগ এক তৃতীয়াংশ, সেখানেই বিজয় মাল্য, নীরব মোদী, ললিত মোদী মেহুল চোক্সী, যতিন মেহতার মতো ব্যক্তিরা প্রতারণা করেও বিদেশে ‘সুখে’ দিন কাটাচ্ছেন।