electricity bill

কমিশনের টাকায় বিদ্যুৎ বিল, বিতর্ক

রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সূত্রের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন পঞ্চায়েতের প্রায় ৩৫০ কোটি টাকার বিল বাকি। গত বছর ১২ সেপ্টেম্বর বিল শোধের জন্য প্রতিটি জেলাকে চিঠি দেওয়া হয়।

Advertisement

সৌমেন দত্ত

বর্ধমান শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৩ ০৮:১৪
Share:

বিভিন্ন পঞ্চায়েতের প্রায় ৩৫০ কোটি টাকার বিল বাকি। প্রতীকী ছবি।

কেন্দ্রের পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের তহবিল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন পঞ্চায়েতের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল মেটানোর নির্দেশ ঘিরে চড়ল রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির অভিযোগ, বিদ্যুতের বিল মেটাতেও কেন্দ্রের অনুদানের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে রাজ্যকে! তৃণমূলের পাল্টা দাবি, নিয়ম মেনেই এই নির্দেশ।

Advertisement

রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সূত্রের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন পঞ্চায়েতের প্রায় ৩৫০ কোটি টাকার বিল বাকি। গত বছর ১২ সেপ্টেম্বর বিল শোধের জন্য প্রতিটি জেলাকে চিঠি দেওয়া হয়। ১৪ মার্চ পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর থেকে জেলাশাসকদের চিঠি দিয়ে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ‘আনটায়েড’ তহবিল থেকে ‘জনহিতকর পরিষেবা’ হিসেবে বিল শোধের নির্দেশ দেওয়া হয়।

বকেয়া বিলে শীর্ষে রয়েছে পূর্ব বর্ধমান। জেলার কয়েকটি পঞ্চায়েতের ১ কোটি টাকার বেশি বিল বকেয়া। বেশ কিছু পঞ্চায়েতের প্রধানের বক্তব্য, “পঞ্চদশ অর্থ কমিশনে আনটায়েড তহবিলে দু’দফায় বড় পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে ৪০ লক্ষ টাকা ও ছোট পঞ্চায়েতে ২৫ লক্ষ টাকা মেলে। তার ১০% প্রশাসনিক খরচের জন্য দেওয়া হয়। বাকি টাকায় কী ভাবে বিদ্যুৎ বিল মেটানো হবে?” বিজেপি নেতা সৌম্যরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “রাজ্যের এমনই অবস্থা, বিদ্যুতের বিল মেটাতেও কেন্দ্রের অনুদানের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে।’’ রাজ্য তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের প্রতিক্রিয়া, “বিদ্যুতের বিল মেটানোও জনহিতকর কাজের মধ্যে পড়ে। নিয়ম মেনেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement