করোনার কোপ উড়ান সংস্থায়। ছবি: এএফপি
করোনার কোপ পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। তার জেরে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ঘোরতর বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে বেশিরভাগ বিমান সংস্থা। এমনকি মে মাসের মধ্যে দেউলিয়াও হয়ে যেতে পারে বেশ কয়েকটি সংস্থা। এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে অস্ট্রেলিয়ার পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান কাপা সেন্টার ফর অ্যাভিয়েশন। তবে সরকার এবং উড়ান সংস্থাগুলি যৌথ ভাবে উদ্যোগী হলে এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই মিলতে পারে বলেও জানিয়েছে ওই সংস্থাটি।
সিডনির ওই সংস্থাটি বলছে, বহু সংস্থাই ইতিমধ্যেই ঋণে ডুবতে বসেছে। তার কারণ, করোনা আতঙ্কে গোটা দুনিয়া জুড়েই বেশিরভাগ বড় বড় বিমান সংস্থা তাদের পরিষেবা পুরোপুরি অথবা আংশিক বন্ধ রেখেছে। যে সব সংস্থা পরিষেবা চালু রেখেছে তাদের বিমানেও যাত্রী সংখ্যা অনেক কমেছে। ফলে দুটি ক্ষেত্রেই সংস্থাগুলির সঞ্চিত পুঁজি ক্ষয় হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি থেকে বেরনোর রাস্তাও বাতলেছে ওই প্রতিষ্ঠানটি। তাদের মতে, সরকার ও প্রতিষ্ঠানগুলির সম্মিলিত পদক্ষেপই এই মহা বিপর্যয় থেকে বেরনোর রাস্তা দেখাতে পারে। এ ক্ষেত্রে আমেরিকা, চিন ও মধ্য এশিয়ার বিমান সংস্থাগুলির এই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার সম্ভাবনা বেশি বলেও ভবিষ্যদ্বাণী করেছে ওই প্রতিষ্ঠানটি। সিডনির ওই পরামর্শদাতা সংস্থাটির বক্তব্য, এই সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসা মানে একটা নিষ্ঠুর যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করা, যেখানে এদিক ওদিক মৃতদেহ ছড়িয়ে থাকবে।
চিনের উহানে সূত্রপাত। তার পর থেকে একাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, প্রবাসীরা দেশে ফিরতেই ছড়িয়ে পড়েছে এই রোগ। তার জেরে কোপ পড়েছে উড়ানেও। তার জোরাল প্রভাব পড়েছে বিমান সংস্থাগুলির ব্যবসাতেও। ইতিমধ্যেই ইউরোপের সর্ববৃহৎ উড়ান সংস্থা ফ্লাইবি-র পতন ঘটেছে। কাজ হারিয়েছেন দু’হাজারেরও বেশি কর্মী। ইতিমধ্যেই বিমানের সংখ্যা কমিয়েছে আমেরিকান এয়ারলাইন্স গ্রুপ, অস্ট্রেলিয়ার কোয়ান্টাস এয়ারওয়েজ। সাময়িক ভাবে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হেঁটেছে নরওয়ের স্যাস এবি-ও।
আরও পড়ুন: ‘চিনা ভাইরাস’ বললেন ট্রাম্প, করোনা নিয়ে দোষারোপ জারি