ছবি: সংগৃহীত
করোনার দুই ঢেউয়ের ধাক্কায় বিপর্যস্ত হোটেল ও রেস্তরাঁ-সহ গোটা আতিথেয়তা শিল্প। সম্প্রতি বিভিন্ন রাজ্যে রেস্তরাঁ ব্যবসায় আংশিক ছাড় মিললেও, অদূর ভবিষ্যতে তৃতীয় ঢেউ অবশ্যম্ভাবী বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। ফলে একের পর এক ধাক্কা কাটিয়ে অতিথেয়তা শিল্পের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে অন্তত পাঁচ বছর সময় লাগতে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্ট মহলের। এই পরিস্থিতিতে এই শিল্পের সংগঠন এফএইচআরএআই-এর বক্তব্য, কেন্দ্র তাদের জন্য যে ঋণ প্রকল্প এনেছে তার মেয়াদ তিন বছরের বদলে আরও কিছুটা বাড়ানো জরুরি। তা না-হলে ঋণ শোধে সমস্যায় পড়বে বহু সংস্থা। পাশাপাশি, ব্যাঙ্ক ও ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি (এনবিএফসি) বাস্তবে কেন্দ্রের ত্রাণ প্রকল্প রূপায়ণে যথেষ্ট উদ্যোগী হচ্ছে না বলেও অভিযোগ সংগঠনের। সমস্যা মেটাতে সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে একগুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছে তারা।
এফএইচআরএআই-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট গুরুবক্সিশ সিংহ কোহালি বলেন, ‘‘আতিথেয়তা ও পর্যটন শিল্পের জন্য ১৫,০০০ কোটি টাকার নগদ জোগানের অর্থ মন্ত্রকের পদক্ষেপ স্বাগত। কিন্তু শিল্পের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে কমপক্ষে পাঁচ বছর সময় লাগবে। তাই এমার্জেন্সি ক্রেডিট লাইন গ্যারান্টি প্রকল্পের মেয়াদ তিন বছরের বদলে ৫-১০ বছর করতে অর্থমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েছি। এ ছাড়া এই ঋণে ব্যাঙ্ক এবং এনবিএফসিগুলিকে সরকার ১০০% গ্যারান্টি না-দিলে প্রকল্পগুলি সফল হবে না।’’
সংগঠনের যুগ্মসচিব প্রদীপ শেট্টি প্রকল্পের সুবিধার ফল এই শিল্পের কাছে না-পৌঁছনোর জন্য কার্যত ব্যাঙ্কগুলিকেই দায়ী করেছেন। হয়রানি এড়িয়ে সংস্থাগুলি যাতে সেই সুবিধা নিতে পারে, সে জন্য প্রকল্প রূপায়ণের যথাযথ নির্দেশিকা প্রকাশ করতে কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত অভিযোগ মেটাতে ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্প মন্ত্রকের পোর্টালের মতো মঞ্চ গড়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন তাঁরা।