প্রতীকী ছবি
আনলক পর্বে পা রেখেই দেশে পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়াতে শুরু করেছিল রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। প্রথমে একটানা, পরে বিক্ষিপ্ত ভাবে। ফলে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে লিটারে ডিজেলের দাম ৮১.৯৪ টাকা ছুঁয়ে রেকর্ড গড়েছে। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার ওই জ্বালানিতে ভ্যাট বা বিক্রয় করের বর্ধিত হার ফেরাল অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আপ সরকার। মে মাসে তা ১৬.৭৫% থেকে বাড়িয়ে ৩০% করেছিল তারা। এ দিনের পদক্ষেপে তা ফের নামল ১৬.৭৫ শতাংশে। ফলে ডিজেল লিটারে ৮.৩৬ টাকা কমে হয়েছে ৭৩.৬৪ টাকা। পেট্রলের অবশ্য কর কমানো হয়নি। তার দর ৮০.৪৩ টাকা। এ দিন ভ্যাট ছাঁটার পরেই আপ নেতাদের দাবি, শুল্ক কমাক মোদী সরকারও।
দিল্লির মতো নতুন উচ্চতায় এখনও পা না-রাখলেও, কলকাতায় ডিজেল ইতিমধ্যেই লিটার পিছু ৭৭ টাকা পেরিয়ে গিয়েছে। পেট্রলও ৮২ টাকা পার। সারা দেশে জ্বালানির দাম বাড়ায় যাতায়াতের খরচের পাশাপাশি জিনিসের দাম বাড়ারও আশঙ্কা। প্রশ্ন উঠছে কেন উৎপাদন শুল্ক ছেঁটে দাম কমানোর পথ করে দিচ্ছে না কেন্দ্র?
দিল্লির খবর আসতেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘তেলের দাম বাড়লে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল নেতৃত্ব কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন। অথচ, রাজ্য তার হাতে থাকা সেস বা করে ছাড় দেয় না। কেন্দ্রকে না-দুষে মুখ্যমন্ত্রী বরং ওই কাজটা করুন।’’
সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, দিল্লিতে ডিজেল আগুন হওয়ার বেশ খানিকটা দায় ছিল আপ সরকারেরও। এই পদক্ষেপে সেটা শুধরে নেওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রকেও চাপে ফেলার লক্ষ্য পূরণ হল। তবে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর দাবি, তেলের শুল্ক এবং কর থেকে আয় কেন্দ্র ও রাজ্য ভাগ করে নিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘যদি ওরা মানুষকে সুরাহা দিতে চায়, তা হলে দিল্লি পারলে এ রাজ্যই বা পারবে না কেন? আসলে মুনাফার ভাগ বুঝে নেওয়ার ক্ষেত্রে দুটো সরকারই সমান।’’
বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের আব্দুল মান্নানে বক্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মাঝে মাঝে বিপ্লবীয়ানা দেখিয়ে তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ করেন। কিন্তু শুল্ক কমান না। কেজরীওয়াল সরকার যেটা করল, আগে শীলা দীক্ষিতের বা অন্য রাজ্যের সরকারও তা করেছে। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সৎ সাহস থাকলে তেলের করছাড় দিন।’’