প্রতীকী ছবি।
দুর্ভোগ কমার নাম নেই। বরং একের পর এক ধাক্কায় আরও কঠিন হচ্ছে আমজনতার দৈনন্দিন জীবন। জ্বালানি-সহ বিভিন্ন জিনিসের দাম বাড়ছিলই। সেই ফাঁস আরও চেপে বসতে পারে ডলারের সাপেক্ষে টাকার তলানি ছোঁয়া দামে। সোমবার এক ডলারের দর ৫৪ পয়সা বেড়ে এই প্রথম ৭৭.৪৪ টাকায় পৌঁছেছিল। মঙ্গলবার তা ১০ পয়সা পড়লেও ৭৭ টাকার নীচে নামেনি (৭৭.৩৪ টাকা)। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, টাকার এই দুর্বল দর অর্থনীতিকে আরও কোণঠাসা করবে। সংসার খরচ বাড়াবে আমজনতার। টাকার দাম নিয়ে এ দিনও প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধেছেন বিরোধীরা।
অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার বলেন, “টাকার পড়তি দামে চাকরিজীবী মানুষের বেতনের প্রকৃত মূল্য (রিয়েল ওয়েজ) কমবে। অথচ চড়বে পণ্যের দাম। কারণ, জ্বালানি এবং কাঁচামাল আমদানির খরচ বাড়বে।’’ আর্থিক বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ দত্ত এবং বাজার বিশেষজ্ঞ আশিস নন্দীর মতে, “দুর্বল টাকা ‘চেন রিঅ্যাকশন’-এর মতো কাবু করে সকলকে। কাঁচামাল কেনার খরচ বাড়লে, পণ্য উৎপাদনের খরচ বাড়ে। তখন তার দাম বাড়ে। দাম বাড়লে ক্রেতার বোঝা বাড়ে। চড়া হয় সংসার খরচ। ফলে পণ্যের চাহিদা কমে। উৎপাদন কমাতে হয় সংস্থাকে। কর্মী-সহ সব খরচেই কাটছাঁটের সিদ্ধান্ত নেয় তারা।’’
আইআইটির অর্থনীতির অধ্যাপক রাজেন্দ্র পরামানিকের দাবি, বিদেশে পড়ানোর খরচ বাড়বে। কারণ, সন্তানকে ডলার কিনে বিদেশে পাঠাতে বেশি টাকা লাগবে। একই কারণে বিদেশ সফরের বাজেটও বাড়াতে হবে, সতর্কবার্তা অনির্বাণবাবুর।