ভারতীয় অর্থনীতির জমি যথেষ্ট পোক্ত বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রতীকী ছবি।
বিশ্ব অর্থনীতির আকাশে নিকষ কালো মেঘ। যা আরও ঘনীভূত হতে পারে বলে আশঙ্কা। আর তার ঝাপ্টা আছড়ে পড়তে পারে ঘুরে দাঁড়াতে থাকা ভারতের অর্থনীতিতেও। শুক্রবার আগামী সম্পর্কে এই পর্যবেক্ষণই উঠে এল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের একটি নিবন্ধে।
সেখানে দাবি, ভারতীয় অর্থনীতির জমি যথেষ্ট পোক্ত বলেই মনে করা হচ্ছে। পরিসংখ্যানে মূল্যবৃদ্ধি মাথা নামাতে শুরু করার ইঙ্গিত স্পষ্ট। চলতি অর্থবর্ষে দেশ এগোচ্ছে প্রায় ৭% আর্থিক বৃদ্ধির দিকে। তা সত্ত্বেও আশঙ্কা পিছু ছাড়ছে না। এর কারণ, বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্কট। নিবন্ধে বলা হয়েছে, এ দেশ আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় চলতে থাকা ঝড়ের মুখে পড়তে পারে। যেখানে মূল্যবৃদ্ধি এখনও চড়ছে। তাকে রুখতে বিপুল হারে বাড়ছে সুদ। ফলে নগদের জোগান কমছে।
ওই নিবন্ধে ইঙ্গিত, শহুরে চাহিদা বাড়লেও, গ্রামাঞ্চলে এখনও তা শ্লথ। পূর্বাভাস, গত জুলাই-সেপ্টেম্বরে দেশে প্রকৃত জিডিপি বৃদ্ধির হার দাঁড়াতে পারে ৬.১%-৬.৩%। দাবি, পূর্বাভাস মিললে চলতি অর্থবর্ষে ভারত প্রায় ৭% বৃদ্ধির পথেই থাকবে। নিবন্ধটি লিখেছেন আরবিআই-এর ডেপুটি গভর্নর মাইকেল দেবব্রত পাত্র। তবে শীর্ষ ব্যাঙ্কের দাবি, তাতে প্রকাশিত মতামত লেখকের, তাদের নয়।
এ দিনই এসেছে ইউরোপীয় শীর্ষ ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন ল্যাগার্দের সতর্কবার্তা, কোভিডকালের আর্থিক ত্রাণ তোলার পাশাপাশি তাঁরা আরও বেশি হারে সুদ বাড়াতে পারেন। কারণ ইউরোপীয় অঞ্চলের ইউরো মুদ্রা ব্যবহারকারী ১৯টি দেশ রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে লড়াই করছে। টানা সুদ বাড়িয়েও সম্প্রতি ব্রিটেন ও ইউরো অঞ্চলে তা রেকর্ড গড়েছে। চড়া সুদের জেরে মন্দার আশঙ্কায় তারা।