প্রতীকী ছবি।
ওষুধ, অক্সিজেন, পাল্স অক্সিমিটার, টেস্ট কিট, স্যানিটাইজ়ার, ভেন্টিলেটার-সহ করোনা যোঝার বিভিন্ন সরঞ্জামের জিএসটি কত হওয়া উচিত, তা নিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে কেন্দ্রের তরজা তুঙ্গে। আট রাজ্যের মন্ত্রীদের নিয়ে কমিটি তৈরি করেও সমস্যার কতটা সমাধান করা যাবে, তা নিয়ে সন্দিহান সমস্ত পক্ষ। এই অবস্থায় বুধবার ওই পণ্যগুলিতে করের হার কমানোর পক্ষে সওয়াল করলেন কমিটির অন্যতম সদস্য তথা উত্তরপ্রদেশের অর্থমন্ত্রী সুরেশ খন্না। একই সুরে মুখ খুলেছেন বিজেপি নেতা সুশীল মোদী। যিনি এক সময়ে জিএসটি পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন।
সাংবাদিক বৈঠকে খন্না বলেন, ‘‘আমি জিএসটি সংক্রান্ত মন্ত্রিগোষ্ঠীর সদস্য। তাই সবিস্তারে কিছু বলব না। তবে রোগীদের স্বার্থে উত্তরপ্রদেশ সরকার কর কমানোর পক্ষে।’’ মন্ত্রীর আরও দাবি, করোনায় তাঁরা তেলে ভ্যাট বাড়িয়ে রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানোর পথে হাঁটেননি। এই প্রসঙ্গে বিরোধীরা তুলছেন পুরনো প্রশ্ন। তা হলে একই পরিস্থিতিতে মোদী সরকার কেন তেলের উৎপাদন শুল্ক কমাচ্ছে না?
বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদীর বক্তব্য, জিএসটি শূন্যে নামলে সংস্থাগুলি কাঁচামালে আগে মেটানো কর ফেরতের দাবি জানাতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে হয়তো পণ্যগুলির দাম না-ও কমতে পারে। তাঁর পরামর্শ, ‘‘পণ্যগুলিতে ০.১% করে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য জিএসটি ধার্য হোক। এতে সংস্থাগুলি কর ফেরতের দাবি জানাতে পারবে। দামও কমবে।’’