প্রতীকী ছবি।
করোনা সঙ্কটের মধ্যে সব কিছু যখন লকডাউনে তালা বন্ধ, তখন টেলিকম পরিষেবাই ছিল যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম। এই অবস্থায় ‘সস্তা’র মাসুল যুদ্ধের জেরে বছরখানেক ধরে নাজেহাল টেলিকম শিল্প। এই অবস্থায় আর্জি ছিল, বাজেটে বিভিন্ন সরকারি মাসুল হ্রাস এবং কর ব্যবস্থার সরলীকরণ করা হোক। কিন্তু সে সবের কিছুই মেলেনি বলে দাবি টেলিকম পরিষেবা সংস্থাগুলির সংগঠন সিওএআইয়ের। সেই হতাশা চেপে রাখেনি তারা।
কেন্দ্রীয় বাজেটকে সাধারণ ভাবে বৃদ্ধি ও বিনিয়োগমুখী বলে মনে করছে টেলিকম শিল্প। কিন্তু সিওএআইয়ের ডিজি এস পি কোছারের দাবি, যে টেলিকম ক্ষেত্র ডিজিটাল ইন্ডিয়া-র মেরুদণ্ড, তার সমস্যা ও সুরাহার বিষয়গুলি বাজেটের নজরের বাইরেই থেকে গিয়েছে। টেলিকম শিল্পের দীর্ঘদিনের বক্তব্য, লাইসেন্স ফি ও স্পেকট্রাম ব্যবহারের খরচ বিপুল। তা হ্রাসের পাশাপাশি সেগুলির উপরে জিএসটি ছাড় দেওয়া হোক। কিন্তু অভিযোগ, সেই আর্জির সুরাহা মেলেনি বাজেট প্রস্তাবে।
কোছাড়ের বক্তব্য, দেশে ৫জি প্রযুক্তি চালু করতে বিপুল আর্থিক বোঝার ঘাড়ে নিয়ে চলা টেলিকম সংস্থাগুলি যাতে সস্তায় যন্ত্রাংশ পায়, সে জন্য কিছু ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক হ্রাস জরুরি। প্রয়োজন আর্থিক সুবিধারও। এ নিয়ে আগামী দিনেও তাঁরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালাবেন বলে জানান কোছার।