—প্রতীকী চিত্র।
দেশের অর্থনীতির চাকায় গতি বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রত্যাশা ছাপাচ্ছে কর সংগ্রহ। সূত্রের খবর, চলতি অর্থবর্ষে এখনও পর্যন্ত আয়কর এবং জিএসটি সংগ্রহের যে ছবি দেখা গিয়েছে, তা অন্তর্বর্তী বাজেটে মোদী সরকারকে সামাজিক প্রকল্পগুলিতে খরচ আরও বাড়ানোর সুযোগ করে দেবে। উপকৃত হতে পারে কৃষি ক্ষেত্রও। রাজকোষ ঘাটতি লক্ষ্যমাত্রা না ছাপিয়েই। মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ওই বাজেটে আগামী অর্থবর্ষের (২০২৪-২৫) জন্যও কর সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হতে পারে উল্লেখযোগ্য ভাবে।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি লোকসভায় অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। পেশ করবেন নির্বাচনের আগে দ্বিতীয় মোদী সরকারের শেষ বৃহৎ আর্থিক নথি। সূত্রের খবর, চলতি অর্থবর্ষে (২০২৩-২৪) আয়কর এবং কর্পোরেট কর মিলিয়ে রাজস্ব সংগ্রহ তার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ লক্ষ কোটি টাকা বেশি হতে পারে। মাসে জিএসটি সংগ্রহও ধারাবাহিক ভাবে ১.৫০ লক্ষ কোটি টাকা পার করছে। এই অবস্থায় দরিদ্রদের আর্থিক সমস্যাগুলি কমানোর দিকে নজর দিতে পারে কেন্দ্র। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, গত এক-দেড় বছর ধরে সাধারণ মানুষ যা নিয়ে সবচেয়ে উদ্বিগ্ন তা হল খাদ্যপণ্য এবং জ্বালানির চড়া দাম। নির্বাচনের আগে এ ব্যাপারে ইতিবাচক পদক্ষেপ করার সুযোগ রয়েছে সরকারের হাতে।
গত বাজেটে প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ১৮.২৩ লক্ষ কোটি টাকা ধার্য করেছিল কেন্দ্র। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৪.৭০ লক্ষ কোটি টাকা সংগ্রহ হয়েছে। অর্থাৎ, ইতিমধ্যেই লক্ষ্যমাত্রার ৮১ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে কেন্দ্র। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, সাধারণত অর্থবর্ষের শেষ দিকে কর সংগ্রহের গতি আরও বাড়ে। ফলে তা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অন্তত ১ লক্ষ কোটি টাকা বেশি হতে পারে। আর জিএসটি সংগ্রহ হতে পারে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১০,০০০ কোটি টাকা বেশি। ইক্রার বক্তব্য, এর ফলে ১০০ দিনের কাজ, গ্রামীণ সড়ক যোজনা, পিএম কিসান, পিএম বিশ্বকর্মা যোজনার মতো প্রকল্পে খরচ বৃদ্ধির সুযোগও থাকবে মোদী সরকারের হাতে।
পরামর্শদাতা সংস্থা ডেলয়েট ইন্ডিয়ার পার্টনার সঞ্জয় কুমারেরও বক্তব্য, অতিমারির সময়ে অন্যান্য দেশ যখন সাধারণ মানুষের হাতে নগদ পৌঁছে দিয়েছে, তখন মোদী সরকার পদক্ষেপ করেছে হিসাব কষে। তার সুবিধা এখন পাচ্ছে তারা।