Air India

এআই কি যাচ্ছে টাটাদের হাতেই, ছড়াচ্ছে জল্পনা

সংস্থার কর্মী-অফিসারদের একাংশের মতে, পেশাদারি মনোভাব নিয়ে সংস্থা পরিচালনা না-করলে বিপুল লোকসানের হাত থেকে বাঁচানো যাবে না এআই-কে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০২১ ০৬:০৫
Share:

ধুঁকতে থাকা এয়ার ইন্ডিয়ার (এআই) দায়িত্ব নিতে চেয়ে এই সংস্থারই প্রথম মহিলা কমার্শিয়াল ডিরেক্টর মীনাক্ষী মালিক ২১৯ জন কর্মীকে নিয়ে গোষ্ঠী (কনসর্টিয়াম) গড়েছিলেন। জমা দিয়েছিলেন আগ্রহপত্র। কিন্তু কেন্দ্র জানিয়েছে, যে বিদেশি সংস্থার লগ্নিতে ভর করে ঝাঁপিয়েছিল গোষ্ঠী, তাদের গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথি জমা পড়েনি। ফলে এআই কেনার দৌড়ের দ্বিতীয় পর্যায়ে উঠতে পারেনি তারা। বিমান মন্ত্রক সূত্রের খবর, ইচ্ছেপত্র পেশ করলেও দ্বিতীয় ধাপে উঠতে পারেনি কলকাতার রুইয়া গোষ্ঠী। খবর ছিল, অজয় সিংহের স্পাইসজেটও আগ্রহ দেখিয়েছে। তবে বিমান পরিবহণমহল বলছে, স্পাইসের মাথায় প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকার দেনা। তাদের চান না এআই কর্মীরাই। এই অবস্থায় সূত্রটির দাবি, দৌড়ে টাটারাই এখনও টিকে। ফলে ফের জল্পনা, তা হলে কি প্রত্যাশা মাফিক এআই যাচ্ছে টাটাদের ঝুলিতেই?

Advertisement

মীনাক্ষী মঙ্গলবার দিল্লি থেকে ফোনে বললেন, ‘‘এটাকে হার হিসেবে দেখছি না। আমরা চাইছি টাটারাই আসুক। এয়ার ইন্ডিয়ার দায়িত্ব নিক। সব রকম ভাবে ওদের সাহায্য করব। টাটা এলে আমরা খুশি।’’ তাঁর কথায়, ‘‘কিছু নথি বাদ পড়ার কথা আমাদের বললে, জমা দিয়ে দিতাম। কিন্তু এখন সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে দৌড়ে টাটা-রা অনেক এগিয়ে।’’

বিমানমহলের এক বিশেষজ্ঞের কথায়, ‘‘কেন্দ্রও সম্ভবত চাইছে টাটারা আসুক। ৬০ হাজার কোটি টাকার দেনা সংস্থার। যাঁরা এখন পরিচালনার দায়িত্বে, তাঁদের সময়েই এই হাল হয়েছে। ফলে, সেই কর্মী-গোষ্ঠীর হাতেই মালিকানা তুলে দেওয়া নিয়ে সংশয়ী ছিল কেন্দ্র। বরং টাটাদের বিমান সংস্থা চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে। স্বাধীনতার পরে কেন্দ্র এআইয়ের রাশ নেওয়ার আগে তা ছিল টাটাদের হাতেই। ফলে মনে হচ্ছে, তারা ফের দায়িত্ব পেলে যত্ন নিয়ে সংস্থা চালাবে।’’

Advertisement

সংস্থার কর্মী-অফিসারদের একাংশের মতে, পেশাদারি মনোভাব নিয়ে সংস্থা পরিচালনা না-করলে বিপুল লোকসানের হাত থেকে বাঁচানো যাবে না এআই-কে। সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকায় আর্থিক ক্ষতি স্বীকার করেও বহু অলাভজনক রুটে উড়ান চালাতে বাধ্য হয়েছে সংস্থা। এক সময়ে ভারতের অভ্যন্তরে উড়ান চালাত ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স এবং আন্তর্জাতিক উড়ানের দায়িত্ব ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার। এক দশক আগে দুই সংস্থার সংযুক্তির ফলে প্রচুর লোকসান হয়। স্রেফ রাজনৈতিক নেতাদের মর্জির কারণে তাঁরা তা করতে বাধ্য হয়েছিলেন বলেও অভিযোগ সংস্থার কর্তা-ব্যক্তিদের। ক্ষতির ধাক্কায় নাজেহাল হয়ে কেন্দ্রও তাই এআইয়ের পুরো অংশীদারি বেচতে চাইছে। ক্রেতা টানতে সঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস এবং এয়ার ইন্ডিয়া এয়ারপোর্ট সার্ভিসেস-এর ৫০ শতাংশও বিক্রি করছে। যদিও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির বেসরকারিকরণ নিয়ে বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে মোদী সরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement