শেয়ারবাজারে বড়সড় পতন। গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনার ফলে বড়সড় পতন ঘটল এ দেশের শেয়ারবাজারে। শেয়ারবাজারের পাশাপাশি তেলের দামও আকাশছোঁয়া হয়েছে। ডলারের তুলনায় পতন ঘটেছে টাকার দামেও।
সোমবার বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গেই নিম্নমুখী হতে শুরু করে শেয়ারসূচক সেনসেক্স। এক সময় তা ৮০০ পয়েন্টেরও নীচে নেমে যায়। দিনের শেষে ৭৮৭.৯৮ পয়েন্ট নেমে তা দাঁড়িয়েছে ৪০,৬৭৬.৬৩-তে। অন্য দিকে, নিফটি-র পতন ঘটে দ্রুত গতিতে। বাজার বন্ধের সময় ২৩৩.৬০ পয়েন্ট নেমে নিফটি থামে ১১,৯৯৩.০৫ পয়েন্টে।
শেয়ার বাজারের মতোই তেলের দামেও বৃদ্ধি ঘটেছে। মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলেমানি নিহত হওয়ার পর থেকেই দু’দেশের সম্পর্কে নতুন করে টানাপড়েন শুরু হয়েছে। সোলেমানি নিহত হওয়ার পর থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর ফুঁসছে ইরান। এই আবহে ২০১৫-র পরমাণু চুক্তি থেকেও বেরিয়ে এসেছে তারা। মার্কিন ড্রোন হামলার বদলা ইরান কী ভাবে নেবে, তার ঘোষণা না করলেও ইরানের ৫২টি জায়গায় আক্রমণের হুমকি দিয়ে রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যা নিয়ে কূটনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। গোটা ঘটনায় তেলের দামেও প্রভাব পড়েছে। এ দিন বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ২.৭৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ব্যারেল প্রতি ৭০.৪৯ ডলার। মধ্য এশিয়ায় এই উত্তেজনার আবহে ভারতের বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ৩.৫৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি ব্যারেলে ৪,৬৫৮ টাকা।
আরও পড়ুন: পাঁচ লক্ষ কোটি কবে, নিশ্চিত নন রজনীশ
আরও পড়ুন: ইরানকে হুমকি দিয়ে এ বার নিজের দেশেই রোষে ট্রাম্প
এ দিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হওয়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ডলারের তুলনায় টাকার দামে বড়সড় পতন ঘটে। এক সময় ২৮ পয়সা নেমে ১ ডলারের দাম হয়েছিল ৭২.০৮ টাকা। দিনের শেষে সামান্য বেড়ে ডলার প্রতি টাকার দাম দাঁড়িয়েছে ৭১.৯৬।