—প্রতীকী ছবি।
দেশের শহরাঞ্চলগুলিতে বেকারত্বের সূচকে রেকর্ড পতন। এবার প্রকাশ্যে এল সেই সংক্রান্ত সরকারি তথ্য। সেখানে বলা হয়েছে, চলতি আর্থিক বছরের (২০২৪-২৫) সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে বেকারত্বের হার নেমে এসেছে ৬.৪ শতাংশে। যা গত ১৫ বছর বার তার বেশি সময়ের নিরিখে সর্বনিম্ন। ২০২৪ আর্থিক বছরের সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে বেকারত্বের হার ৬.৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছিল।
দেশের মোট জনসংখ্যার কত শতাংশ সক্রিয় ভাবে উপার্জন করছে এবং কত শতাংশ কাজ খুঁজছে, তার অনুপাতকে বলা হয় ‘লেবার ফোর্স পার্টিসিপেশন রেট’ (এলএফপিআর)। এ বছরের নভেম্বরে সেই সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। সেখানে বলা হয়েছে, কাজের বাজার সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে ৫০.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে যা ছিল ৪৯.৩ শতাংশ। অর্থাৎ বেশি সংখ্যক মানুষ কাজ পাচ্ছেন বলে দাবি করেছে সরকার।
এ বছরের সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে কর্মী জনসংখ্যার অনুপাতও (ওয়ার্কার পপুলেশন রেশিও বা ডব্লুপিআর) বৃদ্ধি পেয়েছে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে এর সূচক বেড়ে ৪৭.২ শতাংশে গিয়ে পৌঁছেছে। গত বছর (পড়ুন ২০২৩) একই সময়ে সূচক ৪৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
কেন্দ্রের দাবি, নারী-পুরুষ উভয় লিঙ্গের মধ্যেই বেকারত্বের হার কমেছে। ২০২৩ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সি পুরুষদের বেকারত্বের হার ছিল ছ’শতাংশ। এ বছর একই সময়ে তা ৫.৭ শতাংশে নেমে এসেছে। মহিলাদের ক্ষেত্রে বেকারত্বের হার সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে বেকারত্বের হার কমে দাঁড়িয়েছে ৮.৪ শতাংশ। গত বছর এই অঙ্ক ছিল ৮.৪ শতাংশ।
মহিলাদের ক্ষেত্রে এলএফপিআরের সূচক ২৪ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২৫.৫ শতাংশ হয়েছে। শ্রমশক্তিতে পুরুষদের অংশগ্রহণ ৭৩.৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭৫ শতাংশ হয়েছে। বেকারত্বের হার কমার পাশাপাশি কাজের মান উন্নত হয়েছে বলে জানিয়েছে শ্রম মন্ত্রক।