—প্রতীকী ছবি।
বছর শেষ হতে বাকি আর মাত্র এক দিন। ডিসেম্বরের অন্তিম লগ্নে এসেও অব্যাহত রইল শেয়ার বাজারের রক্তক্ষরণ। সপ্তাহের প্রথম লেনদেনের দিনে সাড়ে ৪০০ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স। আর নিফটি নেমেছে ১৫০ পয়েন্টের বেশি। মঙ্গলবার বর্ষশেষের দিনে বাজার চড়ার সম্ভাবনা যে খুব প্রবল, সেই আশার আলো দেখাতে পারেনি কোনও ব্রোকারেজ ফার্ম।
সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই) বন্ধ হয়েছে ৭৮,২৪৮.১৩ পয়েন্টে। অর্থাৎ ০.৫৭ শতাংশ নেমেছে সেনসেক্স। ৪৫০.৯৪ পয়েন্টের পতন দেখা গিয়েছে এই বাজারের সূচকে। অন্য দিকে নিফটি থেমেছে ২৩,৬৪৪.৯০ পয়েন্টে। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই) পড়েছে ১৬৮.৫০ পয়েন্ট। শতাংশের নিরিখে যা ০.৭১।
ব্রোকারেজ ফার্মগুলির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ দিন ১,৩৬৮টি শেয়ারের দাম বেড়েছে। আর দর কমেছে ২,৪৬০টি স্টকের। ১৪০টি শেয়ার দিনভর অপরিবর্তিত থেকেছে। সকালে এনএসসি খোলে ২৩,৭৯৬.৯০ পয়েন্টে। দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩,৯১৫.৩৫ পয়েন্টে উঠেছিল নিফটি। অন্য দিকে সেনসেক্স দৌড় শুরু করে ৭৮,৬৩৭.৫৮ পয়েন্টে। বিএসই-র সূচক সর্বোচ্চ ৭৯ হাজারে পৌঁছেই নেমে যায়।
বাজারের এ হেন শনির দশার নেপথ্যে মূলত তিনটি কারণের কথা বলেছেন শেয়ার বিশ্লেষকেরা। বিদেশি লগ্নিকারীদের মুখ ঘুরিয়ে থাকা, বিশ্ব অর্থনীতির মন্থর গতি এবং ডলারের নিরিখে টাকার দামের পতনকে এর জন্য দায়ী করেছেন তাঁরা। শ্রেণিগত দিক থেকে এ দিন অধিকাংশ সংস্থাই চলে গিয়েছে লাল জ়োনে। নিফটিতে গাড়ি নির্মাণকারী সংস্থাগুলির শেয়ারের দর কমেছে দু’শতাংশ।
তথ্য বলছে, ৩০ ডিসেম্বর শক্তি, পরিকাঠামো এবং তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির স্টকে সর্বাধিক লোকসান হয়েছে। অন্য দিকে নিজেদের অবস্থান মোটের উপর ধরে রেখেছে ওষুধ নির্মাণকারী কোম্পানি। নিফটিতে অবশ্য লাভবান হয়েছেন আদানি এন্টারপ্রাইজ়ের শেয়ারে লগ্নিকারীরা। এই সংস্থার স্টকের দর চড়েছে আট শতাংশ। এ ছাড়া শ্রীরাম ফিন্যান্স এবং এইচসিএল টেকের শেয়ারের বিনিয়োগকারীরাও লাভের মুখ দেখেছেন। আর লোকসান হয়েছে হিন্দালকো, উইপ্রো, টাটা মোটরস, হিরো মোটোকর্প এবং জেএসডব্লিউ স্টিলের স্টকে।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই স্টকে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার অনলাইন কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)