—প্রতীকী ছবি।
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের শেষ লেনদেনের দিনে ফের শেয়ার বাজারে দেখা গেল অস্থিরতা। সেনসেক্স ৮১ হাজারে উঠলেও নিম্নমুখী হয়েছে এর সূচক। অন্য দিকে ৩০ পয়েন্ট পড়েছে নিফটি। তিন দিনের মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠক শেষে নগদ সংরক্ষণ অনুপাত (ক্যাশ রিজ়ার্ভ রেশিয়ো বা সিআরআর) ঘোষণা করে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)। এর জেরেই বাজারের ওঠাপড়া তীব্র হয়েছে বলে মনে করছে অধিকাংশ ব্রোকারেজ ফার্ম।
শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর দিন শেষে ৮১,৭০৯.১২ পয়েন্টে গিয়ে থেমে যায় বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের (বিএসই) সূচক। এ দিন ৫৬.৭৪ পয়েন্ট নেমেছে সেনসেক্স। শতাংশের নিরিখে সেই পতন মাত্র ০.০৬৯ শতাংশের। সকালে ৮১,৮৮৭.৫৪ পয়েন্টে খুলেছিল বিএসই। দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮১,৯২৫.৯১ পয়েন্টে উঠে যায় সেনসেক্স।
অন্য দিকে এ দিন ২৪,৭৮৯.৪৫ পয়েন্টে খোলে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই)। দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৪,৭৫১.০৫ পয়েন্টে ওঠে নিফটি ৫০। এই বাজারে ৩০.৬০ পয়েন্টের পতন দেখা গিয়েছে। অর্থাৎ, ১২ শতাংশ নেমেছে নিফটির সূচক। এনএসই অবশ্য বন্ধ হয়েছে ২৪,৬৭৭.৮০ পয়েন্টে।
এ দিন সকালে মুদ্রানীতি কমিটির বৈঠক শেষে সিআরআর ৫০ বেসিস পয়েন্ট কমানোর কথা ঘোষণা করেন আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। ফলে সাড়ে চার শতাংশ থেকে সিআরআর চার শতাংশে নেমে এসেছে। এর পরই লাফিয়ে লাফিয়ে চড়তে থাকে স্টকের সূচক। বেলা ১২টার মধ্যেই ৪০০ পয়েন্ট চড়ে যায় সেনসেক্স। নিফটিতেও ছিল একই ছবি। কিন্তু কিছু ক্ষণের মধ্যেই সেখান থেকে নীচের দিকে নামতে থাকে দুই বাজারের শেয়ারের লেখচিত্র।
ব্রোকারেজ ফার্মগুলি জানিয়েছে, শুক্রবার ২,২৯৮টি শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। দাম কমেছে ১,৫২৯টি স্টকের। আর ৯৮টি স্টক অপরিবর্তিত রয়েছে। আশার বিষয় হল, তথ্যপ্রযুক্তি এবং মিডিয়া ছাড়া সমস্ত ক্ষেত্রের শেয়ার সবুজ জ়োনে শেষ করেছে। ০.৩ থেকে এক শতাংশ পর্যন্ত সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে গাড়ি নির্মাণকারী, সংকর ধাতু, এফএমসিজি, টেলিকম এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের স্টক।
বিএসইতে ছোট ও মাঝারি পুঁজির সংস্থাগুলির লেখচিত্র বৃদ্ধি পেয়েছে যথাক্রমে ০.৬ ও ০.৩ শতাংশ। নিফটিতে বজ়াজ অটো, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, এসবিআই লাইফ, টাটা মোটরস্ ও মারুতি সুজ়ুকির স্টকের লগ্নিকারীরা সর্বাধিক লাভবান হয়েছেন। আর সবচেয়ে বেশি লোকসানের মুখ দেখিয়েছে আদানি পোর্টস, সিপলা, ভারতী এয়ারটেল, এইচডিএফসি লাইফ এবং এশিয়ান পেইন্টস।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকি সাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই স্টকে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার অনলাইন কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)