ফাইল চিত্র।
পুরনো গাড়ি বাতিলের নীতি আনার কথা বাজেটেই ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বলেছেন, এই বিষয়টি হবে ঐচ্ছিক। বলা হয়নি কোনও সুবিধা দেওয়ার কথা। তার পরেই প্রশ্ন উঠেছিল, তা হলে কেউ কেন নিজের গাড়ি বাতিলের জন্য দেবেন। রবিবার যদিও সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ীর দাবি, এই নীতি বাধ্যতামূলক। যার আওতায় কেনার নির্দিষ্ট সময় (ব্যক্তিগত গাড়িতে ২০ বছর এবং বাণিজ্যিক গাড়ির ক্ষেত্রে ১৫ বছর) পরে গিয়ে স্বয়ংক্রিয় ফিটনেস পরীক্ষা করাতে হবে সমস্ত গাড়ির। সেই সঙ্গে গাড়ি বাতিল করলে ক্রেতাকে দেওয়া হবে বিশেষ সুবিধাও।
তবে অনেকে বলছেন, গডকড়ীর এই বক্তব্যের পরেও থাকছে কিছু প্রশ্ন। মন্ত্রী নীতি বাধ্যতামূলক বলেছেন। কিন্তু তার আওতায় গাড়ি বাতিল করা বাধ্যতামূলক, নাকি শুধুই ফিটনেস পরীক্ষা— সেটা স্পষ্ট নয়। সকলকে যদি গাড়ি বাতিলই করতে হয়, তা হলে দূষণ কর বা গ্রিন ট্যাক্স বসানোর নিয়ম চালুর কথা কেন বলা হচ্ছে? তার উপরে পুরনো গাড়ি বাতিলের সময়ে সংস্থার থেকে সুবিধা পাওয়ার কথা বলেছেন গডকড়ী। করে সুরাহা দেওয়া হবে কি না, স্পষ্ট নয় তা-ও।
মন্ত্রীর যদিও দাবি, গাড়ি বাতিল করে দেশে বায়ু দূষণ ও আমদানি খরচ কমানো এই নীতির একটি লক্ষ্য। পাশাপাশি এর ফলে নতুন গাড়ির বিক্রি বাড়বে এবং তৈরি হবে প্রচুর কর্মসংস্থান। তাঁর কথায়, নতুন গাড়ি বিক্রির হাত ধরে দেশে এই শিল্পের ব্যবসার অঙ্ক ছুঁতে পারে ১০ লক্ষ কোটি টাকা। এখন যা ৪.৫ লক্ষ কোটি। যন্ত্রাংশ রফতানি দ্বিগুণ বেড়ে হতে পারে ৩ লক্ষ কোটি। বাতিল গাড়ির কাঁচামাল ব্যবহার করে তৈরি যন্ত্রাংশের দাম কমতে পারে ৩০%-৪০%।
সব মিলিয়ে এই নতুন নীতি গাড়ি শিল্পে ১০,০০০ কোটি টাকা লগ্নি টানবে ও এর মাধ্যমে ৫০,০০০ জনের কর্মসংস্থান হবে বলেও দাবি মন্ত্রীর। আর শিল্প মহলের একাংশের মতে, আগামী দিনে এই নীতি প্রকাশ করবেন গডকড়ী। তার পুরোটা সামনে এলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে।