—প্রতীকী ছবি।
নতুন করে আর সোভেরেইন গোল্ড বন্ড বা এসজিবি বিক্রি নয়। বছর শেষে এমনটাই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। শেষ পর্যন্ত এতে সিলমোহর পড়লে দুর্দান্ত আয়ের ‘কাগুজে’ হলুদ ধাতুতে আপাতত লগ্নি থেকে বঞ্চিত হবে আমজনতা। যদিও কেন্দ্র বা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (আরবিআই) তরফে এই নিয়ে সরকারি ভাবে কোনও ঘোষণা করা হয়নি।
সূত্রের খবর, সোভেরেইন গোল্ড বন্ডকে ‘ব্যয়বহুল’ ও ‘জটিল’ বলে মনে করছে সরকার। আর সেই কারণেই এটিকে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে অর্থ মন্ত্রক। এখনও পর্যন্ত স্বর্ণ বন্ডের ৬৭টি সেগমেন্ট বিক্রি করা হয়েছে। যাতে বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭২ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা।
কেন্দ্র জানিয়েছে, ৬৭টি সেগমেন্টের মধ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় চারটির ক্ষেত্রে টাকা ফেরত পেয়েছেন লগ্নিকারীরা। ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে জারি করা বন্ডগুলির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এতে বিনিয়োগকারীরা দ্বিগুণের বেশি টাকা ফেরত পেয়েছেন।
গোল্ড বন্ড নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে এর চাহিদা তুঙ্গে রয়েছে। এর জন্য শেয়ার বাজারকেও প্রস্তুত দেখাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, বিনিয়োগকারীরা ১৪ অগস্ট পর্যন্ত সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ট্রেডিং মূল্যের চেয়ে আট শতাংশ বেশি মূল্য দিতে রাজি আছেন। সোভেরেইন গোল্ড বন্ড শেয়ার বাজারের সেকেন্ডারি মার্কেটে তালিকাভুক্ত রয়েছে। বিনিয়োগকারীরা ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের সাহায্যে বম্বে ও ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে নগদে এর লেনদেন করতে পারেন।
প্রথম বার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৫ সালের নভেম্বরে সোভেরেইন গোল্ড বন্ড চালু করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর মাধ্যমে সরকারের থেকে ‘কাগুজে’ সোনা কেনার সুযোগ পায় আমজনতা। হলুদ ধাতুর ক্রমবর্ধমান আমদানি বন্ধ করতে ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। এক জন বিনিয়োগকারী এক গ্রাম থেকে চার কিলো পর্যন্ত সোনা কেনার সুযোগ পেয়েছেন। গোল্ড বন্ডের মেয়াদ আট বছর রেখেছিল সরকার।