—প্রতীকী ছবি।
আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দর স্থায়ী ভাবে ব্যারেলে ৮০ ডলারের নীচে থিতু হলে তবেই দেশে পেট্রল-ডিজ়েলের দাম কমানোর পথে হাঁটা হবে বলে দাবি এই শিল্পের এক সূত্রের। যদিও সেটা আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলের মধ্যে। কারণ, বৃহস্পতিবারই ফের উৎপাদন ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিতে পারে তেল রফতানিকারীদের সংগঠন ওপেক এবং রাশিয়ার মতো সহযোগী দেশগুলি। ফলে ওই দর কমবে কি না, তা দেখার।
টানা ২০ মাস ধরে দেশে পেট্রল-ডিজ়েলের দাম স্থির রেখেছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। গত বছর অশোধিত তেল মাত্রা ছাড়ানোয় বিপুল ক্ষতি হয়েছিল তাদের। সেই লোকসান এ বছর পুষিয়ে নিয়েছে তারা। যে বাস্কেট থেকে ভারত তেল কেনে, নভেম্বরে তা হয়েছে ব্যারেলে গড়ে ৮৩.৪২ ডলার। অক্টোবরে ছিল ৯০.০৮ ডলার এবং সেপ্টেম্বরে ৯৩.৫৪ ডলার।
শিল্পের এক কর্তার দাবি, অশোধিত
তেলের দাম কমলেও, কোনও দিন ডিজ়েল বেচে লাভ হচ্ছে তো কোনও দিন আবার লোকসান। অর্থাৎ, এখনও সেই দর স্থিতিশীল হয়নি। যত দিন তা না হচ্ছে, তত দিন তারা দাম কমানোর পথে হাঁটবে বলে মনে হয় না। তাঁর কথায়, ‘‘তেলের দর লিটারে ১ টাকা কমালে সংস্থাগুলির প্রশংসা হয়। কিন্তু বিশ্ব বাজারে দাম বাড়লে তাদের দাম বাড়াতে দেওয়া হবে কি না, সেই সন্দেহ রয়েছে।’’ এই পরিস্থিতিতে দৈনিক দামে বদলের ধারা ফিরিয়ে আনতে বিশ্ব বাজারে দর ব্যারেলে স্থায়ী ভাবে ৮০ ডলারের নীচে থাকা প্রয়োজন।