সাড়া জাগিয়েই শুরু করেছিল ভক্সওয়াগন বিটল, টাটা ন্যানো, কিংফিশারের মতো সংস্থাগুলো। মার্কেটিংয়ের জন্য বিপুল খরচও করেছিল। কিন্তু সে সবই বৃথা। ভারতে তেমন ব্যবসা করতে পারেনি। কোনওটা ঝাঁপ বন্ধ করে দিয়েছে, কোনওটা আবার ধুঁকছে, প্রায় বন্ধ হওয়ার মুখে।
ফোক্সভাগেন বিটল: জার্মানির বিখ্যাত গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা ফোক্সভাগেন। এই গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা ফোক্সভাগেন বিটল নামে একটি মডেল বাজারে এনেছিল। ভারতের বাজারে যার দাম প্রায় ২৯ লক্ষ টাকা। কিন্তু ক্রেতারা সেই মডেল পছন্দ করেননি।
টাটা ন্যানো: কম টাকায় গাড়ি। টাটা ন্যানোর ট্যাগলাইন ছিল এটাই। বাজারে আসার আগে থেকেই চায়ের কাপে ঝড় তুলে দিয়েছিল ন্যানো। কিন্তু সে ভাবে ব্যবসা জমাতে পারেনি এই ন্যানো। ২০২০ সালে পাকাপাকি ভাবে বন্ধ হওয়ার কথা রতন টাটার স্বপ্নের এই প্রকল্পের।
ট্যাক্সি ফর সিওর: ট্যাক্সি বুক করার একটি অনলাইন অ্যাপ ট্যাক্সি ফর সিওর। কিন্তু যাত্রীরা এই অ্যাপের প্রতি আগ্রহ দেখাননি। তাই আপাতত ট্যাক্সি ফর সিওর বাজারে নেই।
বিসলেরি পপ: জানেন কি জনপ্রিয় জল সংস্থা বিসলেরির সফট ড্রিঙ্কসও ছিল? পিনা কোলাডা, স্পাইসি, লিমোনাটা, ফ্রঞ্জো— এই সব বিভিন্ন ফ্লেভারে সফট ড্রিঙ্কস পাওয়া যেত। কিন্তু ক্রেতারা সে সব সফট ড্রিঙ্কস পছন্দ করেননি। তাই আজও পানীয় জল বিক্রেতা হিসাবেই পরিচিত বিসলেরি।
অ্যাডিবাস: অ্যাডিডাসের নকল করে বাজারে এসেছিল অ্যাডিবাস। চলার পথে ফুটপাথে অ্যাডিডাসের অনেক নকল সংস্থাই চোখে পড়ে। তবে এই সংস্থাটি বেশ বড় আকারে লঞ্চ করেছিল। কিন্তু টিকতে পারেনি।
টিম্বারল্যান্ড: আমেরিকার এই সংস্থাটি ট্রেকিং এবং আউটডোর জুতোর জন্য খুবই জনপ্রিয়। আমেরিকায় ভাল ব্যবসা করলেও ভারতে কিন্তু বাজার জমাতে পারেনি টিম্বারল্যান্ড।
শেভ্রোলে: বাজার ধরে রাখতে পারেনি শেভ্রোলেও। ২০০৩ সাল থেকে ভারতে উৎপাদন এবং বিক্রি করতে শুরু করে এই গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা। কিন্তু ভারতের অন্যান্য গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারেনি শেভ্রোলে। ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর ভারত থেকে পাত্তারি গুটিয়ে নেয় সংস্থা। তবে এর সার্ভিস সেন্টারগুলো এখনও চালু আছে।
কিংফিশার: বিশ্বমানের এই এয়ারলাইনের কর্ণধার ছিলেন বিজয় মাল্য। এক সময়ে দিনে ৪০০টা বিমান ওঠানামা করত এই সংস্থার। সেই মান ধরে রাখতে পারেননি বিজয় মাল্য। পরিষেবার মান নিয়ে যাত্রীরাও অভিযোগ করতে শুরু করেন। আর ব্যাঙ্ক প্রতারণায় অভিযুক্ত বিজয় মাল্য বর্তমানে দেশের বাইরে। মাল্য ভারত ছেড়ে পালাবার আগেই বন্ধ হয়ে যায় কিংফিশার।
দানান ডেয়ারি বিজনেস: খাদ্য প্রস্তুতকারক সংস্থা দানান তাদের ডেয়ারি ব্যবসাও চালু করেছিল ভারতে। মার্কেটিং-ও জোর চালিয়েছিল দানান। কিন্তু তা ফলপ্রসু হয়নি। ক্রেতারা একেবারেই পছন্দ করেননি দানানের ডেয়ারি প্রোডাক্টগুলোকে।