গৌতম আদানি। —ফাইল চিত্র।
আমেরিকায় গৌতম আদানি, তাঁর ভাইপো সাগরের বিরুদ্ধে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পরে মুডি’জ়, ফিচ আদানি গোষ্ঠীর একাধিক সংস্থার রেটিং কমিয়েছে। ফলে বাজার থেকে তাদের পুঁজি জোগাড় করা নিয়ে তৈরি হয়েছে আশঙ্কা। এই অবস্থায় তাদের চিন্তা বাড়াচ্ছে ব্যাঙ্কিং শিল্প। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আট জন সূত্রের খবর, স্টেট ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে দেশের আটটি ব্যাঙ্ক আদানি গোষ্ঠীর সংস্থাগুলিকে নতুন ঋণ দেওয়ার আগে সব দিক খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাদের মধ্যে রয়েছে ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, কানাড়া ব্যাঙ্ক, আইডিবিআই ব্যাঙ্ক এবং আরবিএল ব্যাঙ্ক। খতিয়ে দেখার মানেই যে গোষ্ঠীর সংস্থাকে ঋণ দেওয়া হবে না, তা নয় বলেও স্পষ্ট করেছে ওই সব সূত্র। তবে এ দিন আরও উঠেছে আদানিদের একাধিক সংস্থার শেয়ার দর। বাজারে নথিভুক্ত তাদের ১১টি সংস্থার মধ্যে পাঁচটির শেয়ারের দামই মাথা তুলেছে। আদানি টোটাল গ্যাসের উঠেছে ১৫.৬৯%।
ঘুষের অভিযোগের পর থেকেই আদানি গোষ্ঠীর দাবি, এখন সংস্থার হাতে পর্যাপ্ত নগদ রয়েছে। ঋণও কম নিতে হচ্ছে। শেয়ার দর পড়ায় ক্ষতি হলেও, কাজ আটকাবে না। বিশেষত, বৃহস্পতিবার আবুধাবির লগ্নিকারী সংস্থা আদানিদের উপরে আস্থা রাখার কথা বলেছে। শ্রীলঙ্কার বন্দর কর্তৃপক্ষ ও তানজ়ানিয়া আদানির বন্দর প্রকল্পগুলি চালানোর কথা জানিয়েছে।
এই অবস্থায় এখনই আদানিদের ঋণ নিয়ে চিন্তার কারণ নেই বলেই দাবি নিয়ন্ত্রক সূত্রের। কারণ, কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠানই তাদের মাত্রাতিরিক্ত ধার দেয়নি। তবে তাদের শেষ হতে চলা প্রকল্পগুলিকে ঋণ দেওয়া বন্ধ করা না হলেও, পরে ঋণ মঞ্জুরির সময়ে স্টেট ব্যাঙ্ক আরও কঠোর হতে পারে বলে জানাচ্ছে সূত্র। ব্যাঙ্কগুলি, আদানি গোষ্ঠী অবশ্য এ নিয়ে বৃহস্পতিবার মুখ খুলতে রাজি হয়নি।