—প্রতীকী চিত্র।
মূল্যবৃদ্ধি থেকে চড়া বেকারত্ব, অর্থনীতির যাবতীয় সমস্যাকে কার্যত অগ্রাহ্য করে চলতি বছর ৭২ হাজারের ঘরেই শেষ করল সেনসেক্স। জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরে লগ্নিকারীর ঝুলিতে ঢেলে দিল ৮১.৯ লক্ষ কোটি টাকার শেয়ার সম্পদ। নিফ্টি রইল ২১ হাজারে। শুক্রবার, ২০২৩-এর শেষ লেনদেনে অবশ্য সূচক দু’টি যথাক্রমে ১৭০.১২ এবং ৪৭.৩০ পয়েন্ট নেমেছে। বাজার এত উঁচুতে থাকায় সাধারণ লগ্নিকারীদের আগেই সাবধানে পা ফেলতে বলেছে বিশেষজ্ঞ মহল। এ দিন সতর্ক করেছে খোদ স্টক এক্সচেঞ্জ। লগ্নিকারীদের ঝুঁকিপূর্ণ লেনদেন থেকে দূরে থাকতে এবং দীর্ঘ মেয়াদে টাকা রাখতে পরামর্শ দিয়েছে তারা। ডলারের নিরিখে টাকার দামও স্বস্তি দেওয়ার জায়গায় নামেনি। এক ডলার এখনও দাঁড়িয়ে ৮৩ টাকার উপরেই (৮৩.১৬)।
পরিসংখ্যান বলছে, এ বছর নিট হিসাবে সেনসেক্স উঠেছে ১১,৩৯৯.৫২ পয়েন্ট (১৮.৭৩%)। নিফ্টি মোট ৩৬২৬.১। তারা ২০২৪ সালে পা রাখল যথাক্রমে ৭২,২৪০.২৬ এবং ২১,৭৩১.৪০ অঙ্কে দাঁড়িয়ে। এনএসই-র কর্ণধার আশিসকুমার চৌহ্বানের মতে, বাজারে দ্রুত কেনাবেচা হয়, এমন শেয়ার থেকে এখন লগ্নিকারীদের দূরে থাকা ভাল। এড়িয়ে চলা দরকার ঝুঁকিপূর্ণ শেয়ার। বরং ভারতের ভবিষ্যতে আস্থা রেখে লগ্নি হোক দীর্ঘমেয়াদি আর পরামর্শদাতা হোক নথিভুক্ত ব্রোকার। সম্প্রতি দীর্ঘ মেয়াদে লগ্নির পরামর্শ দিয়েছিলেন বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি-র কর্ণধার মাধবী পুরী বুচ-ও।
বাজার মহলের মতে, আমেরিকা ও ভারতে সুদের হার কমার আশা সম্প্রতি সূচকের ওঠার গতি বাড়িয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি এবং কেন্দ্রে শক্তিশালী সরকার আসার প্রত্যাশা। বিশেষজ্ঞ আশিস নন্দীর দাবি, নতুন বছরে কেন্দ্রে স্থায়ী সরকার গঠনের সম্ভাবনা এবং আর্থিক সংস্কারের পাশাপাশি পরিকাঠামো-সহ বিভিন্ন উন্নয়ন খাতে সরকারি খরচের ঘোষণাগুলি বাস্তবায়িত হলে অর্থনীতি দ্রুত এগোবে। তখন সূচক আরও চড়বে। ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন ডিরেক্টর বিনয় আগরওয়াল বলছেন, “সুদ কমার সম্ভাবনাও উজ্জ্বল, যা শিল্পের সহায়ক। অন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সমস্যা হলেও, দেশের বাজার ঘরোয়া অর্থনীতির জোরেই এগোবে।’’