—প্রতীকী চিত্র।
পাঁচ বছরে দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় ৫০০ টাকার জাল নোট ৩০০% বেড়েছে। প্রবল ভাবে মাথা তুলেছে ২০০০ টাকার জাল নোটের সংখ্যাও। সম্প্রতি লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে কেন্দ্রের পেশ করা রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে এই ছবি। তার পরেই প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে এত ঢাকঢোল পিটিয়ে নোটবন্দি করে কী লাভ হল? মোদী সরকার যে জাল নোট এবং কালো টাকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার দাবি তুলেছিল, তার পিছনে কি ছিল শুধুই রাজনৈতিক প্রচার?
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর আচমকাই ৫০০, ১০০০ টাকার নোট বাতিল করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ডিজিটাল লেনদেন বাড়িয়ে জাল নোট ও কালো টাকার রমরমা রোখা হবে বলে বার্তাও দেন। কিন্তু অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধরির দেওয়া তথ্য বলছে, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় চিহ্নিত ৫০০ টাকার (মহাত্মা গান্ধী নতুন সিরিজ়) জাল নোটের সংখ্যা ছিল ২,১৮,৬৫,০০০। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে বেড়ে হয় ৮,৫৭,১১,০০০। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে। ৩,৯৪,৫৩,০০০ থেকে এক লাফে পৌঁছেছে ৭,৯৬,৬৯,০০০-এ। বৃদ্ধি প্রায় ১০২%। মন্ত্রী এটাও বলেছেন, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ৯৮,০৬,০০০ জাল ২০০০ টাকার নোট ধরা পড়ে। এক বছরে তা হয়েছে ২,৬০,৩৫,০০০।
বুধবার এক্স-এ মন্ত্রীর দেওয়া এই হিসাব পোস্ট করে মোদী সরকারের সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস নেতা পবন খেরা। তাঁর বক্তব্য, নোটবন্দির সময়ে যা বলা হয়েছিল, বাস্তবে তার ব্যর্থতা পরিসংখ্যানে স্পষ্ট। তিনি বলেন, ‘‘গত আট বছরে বিভিন্ন বিশ্লেষণে নোটবন্দিকে ‘ব্যর্থ’ তকমা দেওয়া হয়েছে। আশঙ্কা করা হয়েছে এর সুদূরপ্রসারী বিরূপ প্রভাব নিয়ে। সরকারি তথ্যে সেটাই প্রমাণিত হল।’’