রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। —ফাইল চিত্র।
এক দিকে ব্যাঙ্কে অনিয়মের অভিযোগ। অন্য দিকে বিভিন্ন সংস্থায় করের নোটিস এবং সেই সূত্রে মামলা। মঙ্গলবার এই ছবি দেখল দেশের কর্পোরেট মহল।
ডিরেক্টরদের নিয়ম না মানার এবং প্রতারণা সংক্রান্ত রিপোর্ট ঠিকমতো জমা না দেওয়ার অভিযোগে আজ আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক এবং কোটাক মহিন্দ্রা ব্যাঙ্ককে জরিমানা করেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে তার অঙ্ক ১২.১৯ কোটি টাকা এবং কোটাক মহিন্দ্রার ৩.৯৫ কোটি টাকা। ব্যাঙ্কের কাজকর্ম খতিয়ে দেখার (ইনস্পেকশন) সময়ে এই নিয়ম ভাঙার বিষয়গুলি নজরে আসার পরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক।
আরবিআই-এর ইনস্পেকশন রিপোর্টে প্রকাশ, ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ সালের মধ্যে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক এমন সংস্থায় ঋণ দিয়েছে অথবা ঋণদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যেগুলিতে পরিচালন পর্ষদে সদস্য হিসেবে রয়েছেন ওই ব্যাঙ্কেরই দুই ডিরেক্টর। তার উপরে আর্থিক নয় এমন কিছু প্রকল্প বিপণন করেছে ব্যাঙ্কটি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংস্থায় প্রতারণা সংক্রান্ত রিপোর্টও রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের জমা দেয়নি তারা। আর কোটাকের ক্ষেত্রে চুক্তিতে উল্লিখিত শর্ত ভেঙে কিছু ঋণের সুদ আদায়ের অভিযোগ করেছে আরবিআই। এ ছাড়া পরিষেবা দিয়েছে এমন একটি সংস্থার বার্ষিক পর্যালোচনাও করেনি ব্যাঙ্কটি। ওই ঘটনা ২০২১-২২ সালে শীর্ষ ব্যাঙ্কের নজরে আসে।
পাশাপাশি, আজ ৩২০.৬ কোটি টাকার জিএসটি নোটিস পেয়েছে বলে জানিয়েছে ডাবরও। তাদের দাবি, এর সঙ্গে জরিমানা এবং সুদ দিতে বলা হয়েছে। নির্দেশ না মানলে পাঠানো হতে পারে কারণ দর্শানোর নোটিস। এর বিরুদ্ধে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে স্বল্পমেয়াদি ভোগ্যপণ্য সংস্থাটি। সঙ্গে বলেছে, এর প্রভাব তাদের ব্যবসার উপরে সে ভাবে পড়বে না। উল্লেখ্য, এর আগে ডেল্টা কর্প-সহ অন্য অনেক সংস্থাকেই বকেয়া করের নোটিস পাঠিয়েছে কেন্দ্র।
এ দিকে, মহিন্দ্রা অ্যান্ড মহিন্দ্রাকে ১৯৪.৭৩ কোটি টাকার করের নোটিস পাঠিয়েছিল আয়কর দফতর। সে সংক্রান্ত মামলায় সংস্থার পক্ষে রায় দেয় তাদের ট্রাইবুনাল। তার বিরুদ্ধে বম্বে হাই কোর্টে গিয়েছে দফতরটি। যদিও সংস্থার দাবি, এখানেও তাদের পক্ষেই রায় যাবে বলে তাদের আশা। এর প্রভাবও কাজে পড়বে না।