আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। —ফাইল চিত্র।
খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার লক্ষ্যের (৪%) নীচে মাথা নামানোয় সুদ কমার প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল। বিপুল সুদের বোঝায় হয়রান ঋণগ্রহীতারা ভার কমার আশায় বসেছিলেন। বাড়তি চাপ ছিল আমেরিকা-সহ বিভিন্ন দেশের সুদ ছাঁটাই। কিন্তু এ বারও ঝুঁকি নিল না রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। বুধবার রেপো রেট (ব্যাঙ্কগুলিকে আরবিআই যে সুদে ধার দেয়) ৬.৫০ শতাংশই রাখল তারা। তবে ইঙ্গিত দিল আগামী দিনে সুদ কমানোর। তাই অবস্থান ‘উইথড্রয়াল অব অ্যাকোমোডেশন’ (সুদ ছাঁটার পথথেকে সরা) থেকে করা হয়েছে ‘নিউট্রাল’, (সুযোগ মতো সুদ ছাঁটাই)।
আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানান, ভূ-রাজনৈতিক অশান্তির কারণে মূল্যবৃদ্ধি চড়ার ঝুঁকি আছে। ফলে সুদ কমানোর কথা বলার সময় এটা নয়। তবে অদূর ভবিষ্যতে তা কমবে। যে কারণে অক্টোবর-ডিসেম্বরে মূল্যবৃদ্ধির পূর্বাভাস বাড়ানো হয়েছে।
অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকারের বক্তব্য, “বহু মানুষ বেশি আয়ের আশায় ফান্ড, সোনার মতো লগ্নিতে ঝুঁকছেন বলে ব্যাঙ্কে আমানত কমছে। সুদ ছাঁটলে আরও কমবে। এটাও কারণ বলে মনে হয়।’’ একমত ইউবিআইয়ের প্রাক্তন চেয়ারম্যান-এমডি ভাস্কর সেন। তবে তাঁর দাবি, পশ্চিম এশিয়ার যুদ্ধ ও তাতে দামি হওয়া তেল মূল্যবৃদ্ধির হার বাড়াতে পারে বলেও আরবিআইয়ের আশঙ্কা। তার উপর যুদ্ধে বহু পণ্যের জোগান ব্যাহত হলে দাম বাড়বে।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ডিসেম্বরের ঋণনীতিতে সুদ কমতে পারে। তারই জমি তৈরি হল। যদিও পটনা আইআইটির অর্থনীতির অধ্যাপক রাজেন্দ্র পরামানিক বলেন, “পশ্চিম এশিয়ার অশান্তির প্রভাব ও আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলদেখে এগোবে আরবিআই। ফেব্রুয়ারির আগে সুদ কমার সম্ভাবনা কম।’’