প্রতীকী চিত্র। Sourced by the ABP
কলকাতা-সহ দেশের ৫০টি শহরের মধ্যে ৪৩টিতেই গত জানুয়ারি-মার্চে আবাসনের দাম বেড়েছে। সস্তা হয়েছে শুধু সাতটি শহরে। সমীক্ষায় জানাল ন্যাশনাল হাউজ়িং বোর্ড (এনএইচবি)। তা সত্ত্বেও রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক টানা দু’বার সুদ একই রাখায় ঋণের খরচ কমার ফলে ফ্ল্যাট-বাড়ির চাহিদা আদতে বাড়বে বলে মনে করছে আবাসন শিল্প।
আবাসনের ঋণদাতা সংস্থাগুলির তথ্যের ভিত্তিতে (সম্পত্তির মূল্যের হিসাবে) এনএইচবি বলছে, আবাসনের মূল্য সূচক ২০২১-২২ সালের ৫.৩% থেকে জানুয়ারি-মার্চে হয়েছে ৫.৮%। কলকাতায় সম্পত্তির গড় দাম বেড়েছে ১১%। বাকি প্রথম সারির সাত শহরে— আমদাবাদ (১০.৮%), বেঙ্গালুরু (৯.৪%), চেন্নাই (৬.৮%), দিল্লি (১.৭%)। হায়দরাবাদ (৭.৯%) ও মুম্বই (৩.১%)। তবে এনএইচবি-র দাবি, এখনও গৃহঋণের সুদ প্রাক-করোনার থেকে কম। তাই ফ্ল্যাট সাধ্যের মধ্যেই রয়েছে।
আরবিআই সুদ ৬.৫% রাখায় গৃহঋণের সুদও আপাতত চড়ার আশঙ্কা কম। ক্রেতার সঙ্গে তা স্বস্তি দিয়েছে আবাসন নির্মাতাদের। তাদেরসংগঠন ক্রেডাইয়ের জাতীয় প্রেসিডেন্টবোমান ইরানি বলেন, ‘‘আশা করব আবাসনে জোগান ও চাহিদার গতি বজায় থাকবে। মূল্যবৃদ্ধি ১৮ মাসে সর্বনিম্ন হওয়ায় পরের ঋণনীতিতে সুদ কমানোর সুযোগ রয়েছে। তাতে সব শিল্পই গতি পাবে।’’ নারেডকো-র প্রেসিডেন্ট রাজন বান্দেলকর ও ভাইস চেয়ারম্যান নিরঞ্জন হীরানন্দানিও আশাবাদী, স্থির সুদ আবাসন ক্ষেত্রকে সাহায্য করবে। উপদেষ্টা অ্যানারকের চেয়ারম্যান অনুজ পুরী, নাইট ফ্র্যাঙ্কের সিএমডি শিশির বৈজলের আশা, আরও গতি পাবে ক্রেতা চাহিদা।