—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রাত পোহালেই বৈঠকে বসবে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি কমিটি। সুদ নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে বুধবার। সম্প্রতি আমেরিকা সুদ ছাঁটার পরে আরবিআইয়ের থেকে কিছুটা সুরাহার প্রত্যাশায় ঋণগ্রহীতা এবং শিল্প। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সে গুড়ে বালি। একে তো খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধি এখনও আশঙ্কা বহাল রেখেছে, বিশেষত খাদ্যপণ্যের দাম চড়া থাকায়। তার উপর পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধের দামামা পরিস্থিতিকে আরও ঘোরালো করে সুদ কমানোর পথে নতুন করে কাঁটা বিছিয়েছে। কারণ, তাতে অশোধিত তেল এবং পণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে।
২০২৩-এর ফেব্রুয়ারির পর থেকে শীর্ষ ব্যাঙ্ক সুদ (রেপো রেট, যে সুদে ব্যাঙ্কগুলিকে ধার দেয় তারা) ৬.৫ শতাংশে অপরিবর্তিত রেখেছে। তারা বলেছিল, খুচরো মূল্যবৃদ্ধি ৪ শতাংশের নীচে নামলে সুদ কমানোর কথা ভাবা হবে। গত দু’মাস ধরে সেটা হওয়ায় তাই জোরালো হচ্ছে সুরাহার দাবি। ব্যাঙ্ক অব বরোদার মুখ্য অর্থনীতিবিদ মদন সবনবীশ অবশ্য বলছেন, ‘‘আমরা সুদের হারে বদল আশা করছি না। কারণ, সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবরে মূল্যবৃদ্ধি ৫ শতাংশের বেশি হতে পারে। বর্তমানে তা কম থাকার কারণ গত বছরের উঁচু ভিতের নিরিখে হিসাবের সুবিধা। খাদ্য ও জ্বালানি বাদে বাকি সব কিছুর মূল্যবৃদ্ধির হারও সামান্য মাথা তুলেছে। সমস্যা আরও গভীর করতে পারে ইরান-ইজ়রায়েল দ্বন্দ্ব।’’ মূল্যায়ন সংস্থা ইক্রার মুখ্য অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ারের ধারণা, সুদ ২৫ বেসিস পয়েন্ট করে কমতে পারে ডিসেম্বর এবং ফেব্রুয়ারিতে। তবে সে ক্ষেত্রেও ঝুঁকি বহাল রাখছে ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা।
সিগনেচার গ্লোবালের কর্ণধার প্রদীপ আগরওয়ালের মতে, নির্মাণ শিল্প এবং আবাসনের ক্রেতারা সুদ কমার আশা করলেও মূল্যবৃদ্ধির সামগ্রিক পরিস্থিতি শীর্ষ ব্যাঙ্ককে অস্বস্তিতে রেখেছে। বিশেষত খাবারের দাম। আমেরিকার সুদ ছাঁটাই ভারতে প্রত্যাশা উস্কে দিলেও, এ দেশের অর্থনীতির ছবিটা আলাদা। তাই সুদ হয়তো অপরিবর্তিতই থাকবে।