—প্রতীকী ছবি।
দু’হাজার টাকার নোট নিষিদ্ধ হওয়ার পর পেরিয়ে গিয়েছে দেড় বছর। কিন্তু এখনও আমজনতার হাতে রয়েছে সাত হাজার কোটির বেশি মূল্যের গোলাপি নোট! পুজোর মুখে এমনই তথ্য দিল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা আরবিআই। তবে দু’হাজার টাকার নোটের ৯৮ শতাংশই ফেরত এসেছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।
চলতি বছরের ১ অক্টোবর দু’হাজার টাকার নোট সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করে আরবিআই। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক সেখানে জানিয়েছে, এখনও দুই শতাংশ গোলাপি নোট আমজনতার হাতে রয়েছে। যার মূল্য ৭ হাজার ১১৭ কোটি টাকা। যা অবিলম্বে জমা করতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, দু’হাজার টাকার নোট নিষিদ্ধ করার পর প্রাথমিক ভাবে তা ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। বর্তমানে যা অত্যন্ত ধীর গতিতে জমা পড়ছে বলে জানিয়েছে আরবিআই।
কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছরের ১ জুলাই আমজনতার হাতে থাকা দু’হাজার টাকার নোটের মূল্য ছিল ৭ হাজার ৫৮১ কোটি টাকা। ঠিক এক মাস পর অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর এতে তেমন কোনও রদবদল হয়নি। গত দু’মাসে মাত্র ৩২০ কোটি টাকা মূল্যের দু’হাজারি নোট ফেরত এসেছে বলে জানিয়েছে আরবিআই।
গত বছরের (২০২৩) ১৯ মে গোলাপি রঙের দু’হাজারি নোটের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। আমজনতাকে এই নোট ব্যাঙ্কে জমা করতে বলা হয়েছিল। নিষিদ্ধ করার সময়ে ৩.৫৬ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের দু’হাজারি নোট বাজারে ঘুরছিল। ২০২৩ সালের ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে তা কমে ৯ হাজার ৩৩০ কোটি টাকায় চলে আসে।
গোপালি নোট নিষিদ্ধ করার পর কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তা জমা করার সময় দিয়েছিল। ওই সময়ে স্থানীয় ব্যাঙ্ক ও আরবিআইয়ের ১৯টি আঞ্চলিক অফিসে দু’হাজারি নোট জমা নেওয়া হচ্ছিল। পরবর্তীকালে অবশ্য এই সময়সীমা বৃদ্ধি করে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।
বর্তমান সময়ে যদি কোনও ব্যক্তির কাছে দু’হাজার টাকার নোট থেকে থাকে, তবে তা জমা বা বদল করতে পারবেন তিনি। তবে স্থানীয় ব্যাঙ্কে আর জমা হবে না গোলাপি নোট। এর জন্য তাঁকে যেতে হবে আরবিআইয়ের আঞ্চলিক কার্যালয়ে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের মোট ১৯টি অফিসে এই জমা বা বদল নেওয়ার কাজ চলছে। যার মধ্যে রয়েছে কলকাতার আঞ্চলিক কার্যালয়ও।
২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে দু’হাজারি নোট চালু করে আরবিআই। ওই সময়ে পুরনো ৫০০ ও হাজার টাকার নোটের বিমুদ্রাকরণ করা হয়েছিল। সেই সময়ে ওই গোলাপি নোট এনেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। ২০১৮-১৯ আর্থিক বছর থেকেই এই নোট ছাপানো পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র।