রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। — ফাইল চিত্র।
করোনার তিন ঢেউ পার করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল বিশ্ব অর্থনীতি। ঠিক তখনই নতুন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। সারা বিশ্বে মাথাচাড়া দিয়েছে মূল্যবৃদ্ধির হার। এই সমস্যার কতটা চাহিদা মাথা তোলার জন্য, আর কতটাই বা সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার ফল? মূল্যবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে ঋণনীতি কতটা আক্রমণাত্মক হতে হবে? সাধারণ মানুষের হাতে কতটা দিতে হবে ত্রাণ? এই সমস্ত মাপকাঠি নিয়েই এখন তোলপাড় চলছে নীতি নির্ধারণকারীদের মনে। এই অবস্থায় বড় মাপের তথ্য সংগ্রহ এবং তার বিশ্লেষণে জোর দিলেন রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।
শনিবার শীর্ষ ব্যাঙ্কের অর্থনীতি ও নীতি সংক্রান্ত গবেষণা বিভাগের বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তৃতায় শক্তিকান্ত জানান, করোনার প্রথম ঢেউয়ে জেরে মাঠে-ময়দানে পরিসংখ্যান সংগ্রহ কঠিন হয়ে পড়েছিল। আরও আগ্রাসী দ্বিতীয় ঢেউ আসার পর চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছিল বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করা। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এই সমস্ত সমস্যাকে অতিক্রম করে তৃতীয় ঢেউয়ের মধ্যেও বিশ্ব অর্থনীতি যখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, তখন ফের কাজটা কঠিন করে দিয়েছে ইউরোপের যুদ্ধ। তৈরি হয়েছে খাদ্য ও জ্বালানির সঙ্কট। ভূ-রাজনৈতিক এই সঙ্কট বিশ্ব অর্থনীতির মধ্যে নতুন এক বিভাজন তৈরি করেছে। কোনও একটি পক্ষের উপরে বেশি নির্ভরশীলতা কমানোর প্রয়োজনীয়তা স্পষ্ট হয়েছে।’’ এই প্রেক্ষিতেই নীতি নির্ধারণের জন্য তথ্য সংগ্রহ ও তার বিশ্লেষণে গুরুত্ব দিয়েছেন রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নর।
সংবাদ সংস্থা