অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। ছবি: সংগৃহীত।
শীতকালে ত্বক বাড়তি যত্ন চায়। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ব্রণ, ব্ল্যাকহেড্স বা বলিরেখার সমস্যাও যোগ হয়। এই সব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নানা রকম প্রসাধনী কিনে গুচ্ছ গুচ্ছ টাকাপয়সা নষ্ট করেন। ত্বকের জেল্লা বৃদ্ধি করতে শুধু বাইরে থেকে ক্রিম, ময়েশ্চারাইজ়ার মাখলে হবে না। তেমনটাই বলছেন অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের ব্যক্তিগত পুষ্টিবিদ পূজা মাখিজা। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে হলে ডায়েটে কিছু খাবার, পানীয় যোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। জেনে নিন, সেগুলি কী কী।
১) অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগার
আপেলের রস মজিয়ে তৈরি করা হয় অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগার। এই তরলের মধ্যে ভিটামিন বি১, বি২, বি৬, সি, ফোলিক অ্যাসিড রয়েছে। এ ছাড়া পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজের উৎস হল অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগার। প্রতি দিন সকালে ঈষদুষ্ণ জলে মিশিয়ে এক-দু’চা চামচ অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগার খেলে শরীরে জমে থাকা টক্সিন দূর হয়। ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গেলে এই প্রক্রিয়াটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি, এই পানীয় ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সহায়তা করে।
২) ডিমের সাদা অংশ:
শারীরিক নানা সমস্যার কথা ভেবে অনেকে ডিম খান ভয়ে ভয়ে। তবে কুসুম বাদ দিয়ে শুধু ডিমের সাদা অংশটি খেলে খুব সমস্যা হওয়ার কথা নয়। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ডিমের সাদা অংশে রয়েছে বায়োটিন, আয়রন, ভিটামিন বি৭, বি১২, জ়িঙ্ক এবং ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ রয়েছে। ত্বকের নিজস্ব প্রোটিন, অর্থাৎ কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে এই খাবারটি। ফলে ত্বক সহজে ঝুলে পড়ে না।
৩) সাদা তিল
ফাইবার, কপার, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের উৎস হল সাদা তিল। আয়ুর্বেদে তিলের ব্যবহার দীর্ঘ দিনের। হাড় মজবুত করতেও এই বীজের ভূমিকা রয়েছে। আবার, ত্বকের পিএইচের সমতা ধরে বজায় রাখতে সাহায্য করে তিল। প্রদাহজনিত সমস্যা নিরাময়েও সাহায্য করে এই বীজটি।
৪) হলুদ
হলুদবিহীন হেঁশেলের কথা প্রায় ভাবাই যায় না। রোজের বেশির ভাগ রান্নায় হলুদ পড়ে। এ ছাড়া ত্বকের বহু সমস্যার সমাধান রয়েছে এই মশলাটিতে। অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিভাইরাল উপাদানে ভরপুর হলুদ ত্বকের হারিয়ে যাওয়া জেল্লাও ফিরিয়ে দিতে পারে। প্রতি দিন সকালে ঈষদুষ্ণ জলে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে খেলে ব্রণের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
৫) জল
ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গেলে দিনে অন্ততপক্ষে দু’-তিন লিটার জল খেতে হবে। শারীরবৃত্তীয় কাজ সঠিক ভাবে পরিচালনা করার জন্যও জলের প্রয়োজন। আবার, শরীরে জমা টক্সিন বার করতে গেলেও পর্যাপ্ত জল খেতে হবে।