Investment

বিকল্পে লগ্নির সওয়াল

এক রিপোর্টে মুডি’জ় জানিয়েছে, প্রত্যেক বছর উৎপাদন ক্ষমতা ৫০ গিগাওয়াট করে বাড়িয়ে ২০৩০ সালে ৫০০ গিগাওয়াটে পৌঁছনোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল সরকার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২৪ ০৬:১৩
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

দূষণ এবং আমদানি নির্ভরতা কমানোর জন্য বেশ কিছু দিন ধরেই বিকল্প বিদ্যুৎ উৎপাদনে জোর দিচ্ছে ভারত। ২০৩০-এর মধ্যে বার্ষিক বিকল্প বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৫০০ গিগাওয়াটে নিয়ে যেতে চায় কেন্দ্র। যার বেশির ভাগটাই সৌর বিদ্যুৎ। মুডি’জ় রেটিংসের বক্তব্য, এর জন্য ৩৮,৫০০ কোটি ডলার (প্রায় ৩২ লক্ষ কোটি টাকা) বিনিয়োগ প্রয়োজন। তার জন্য বিভিন্ন সংস্থা পুঁজি ঢালাও শুরু করেছে। তবে আগামী এক দশক কয়লাই যে এ দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মূল সূত্র থেকে যাবে, সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে মূল্যায়ন সংস্থাটি।

Advertisement

এক রিপোর্টে মুডি’জ় জানিয়েছে, প্রত্যেক বছর উৎপাদন ক্ষমতা ৫০ গিগাওয়াট করে বাড়িয়ে ২০৩০ সালে ৫০০ গিগাওয়াটে পৌঁছনোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল সরকার। কিন্তু ২০২২ সালের হিসাব অনুযায়ী, উৎপাদন ক্ষমতা সেই পরিকল্পনার (১৭৫ গিগাওয়াট) থেকে কিছুটা পিছনে থেকে গিয়েছে। মুডি’জ়ের হিসাব, যে কোনও একটি বছরে অতিরিক্ত ৪৪ গিগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা তৈরি করতে হবে। তা হলে নির্ধারিত মাইলফলক ছোঁয়া সম্ভব। আর এই গোটা প্রক্রিয়ায় আগামী ছ’সাত বছরে উৎপাদন পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য ১৯,০০০-২১,৫০০ কোটি ডলার এবং সংবহন ও বণ্টনের জন্য ১৫,০০০-১৭,০০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে হবে। এর জন্য বড় অঙ্কের ঋণেরও প্রয়োজন হতে পারে। তবে তাতে সরকারের আর্থিক মূল্যায়নে বিরূপ প্রভাব পড়ার বিশেষ সম্ভাবনা নেই বলেই মত তাদের।

মূল্যায়ন সংস্থাটি জানিয়েছে, বিকল্প বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্র সহায়ক নীতি এনেছে। তার ফলে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এর ব্যবহার প্রায় ৪৩% বেড়েছে। আসছে বেসরকারি লগ্নিও। আদানি গ্রিন এনার্জি ২০৩০ সালের মধ্যে তাদের বিকল্প বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাকে ৪৫ গিগাওয়াটে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement