বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল।—ছবি পিটিআই।
বণিকসভা ব্যবসায়ীদের স্বার্থে তৈরি। দেশ গঠনে তাদের ভূমিকাও উল্লেখযোগ্য। অথচ বণিকসভার অনুষ্ঠানে গুটিকয়েক কর্মকর্তা ছাড়া কারও টিকিটিও দেখা যায় না বলে শুক্রবার তোপ দাগলেন বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। তাঁর অভিযোগ, একমাত্র বিপদে পড়লেই বণিকসভার দ্বারস্থ হন ব্যবসায়ীরা। মন্ত্রীর পরামর্শ, একে এতটা হালকা ভাবে না-নেওয়াই ভাল।
আজ অল ইন্ডিয়া ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভায় গয়াল বলেন, ‘‘যখন বণিকসভা সিআইআই, ফিকি বা অ্যাসোচ্যামের অনুষ্ঠানে যাই, তখন অনেক সময়ে দেখে দুঃখ হয় যে, শুধু বণিকসভার বর্তমান ও প্রাক্তন কিছু কর্তা এবং কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকেন। জানি না বাকি ঘর ভর্তি হয় কী ভাবে!’’ বণিকসভার সঙ্গে ব্যবসায়ীদের যোগাযোগ কোথায়, সেই প্রশ্নও তোলেন গয়াল। তাঁর এই বার্তা সব শিল্পের কাছে পৌঁছে দিতে সংগঠনের কর্তাদের আর্জিও জানান।
মন্ত্রীর কথায়, বণিকসভাগুলি দেশ গঠনের কাজ করে। তাই নিজেদের প্রয়োজনেই শুধু সেখানে যাওয়া ঠিক নয়। এই প্রসঙ্গে খেলনা শিল্পের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, খেলনায় শুল্ক বাড়ানোর পরেই বণিকসভার দ্বারস্থ হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। অথচ অতীতে দেশে তৈরি খেলনার মান উন্নত করা বা আমদানি কমাতে কিছু করেননি। বরং বিদেশি খারাপ মানের পণ্যে নির্ভরশীল হয়েছেন।