পীযূষ গয়াল। পিটিআই
ভারত থেকে বিদেশে পরিষেবা রফতানির ক্ষেত্রে উৎসাহ প্রকল্পের পরিধি বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করেছিল পরিষেবা রফতানি উন্নয়ন পরিষদ। কিন্তু সোমবার সেই সুবিধা প্রত্যাহারের পক্ষে সওয়াল করলেন বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। এখন রফতানিতে ‘সার্ভিস এক্সপোর্টস ফ্রম ইন্ডিয়া স্কিম’-এর (এসইআইএস) আওতায় ন’ধরনের পরিষেবা করছাড়ের সুবিধা পায়। মন্ত্রীর দাবি, ওই প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে দেশের রফতানি বৃদ্ধিতে বিশেষ সাহায্য করছে না।
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের মধ্যে ভারতকে ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করতে চায় মোদী সরকার। তার জন্য যে রফতানির দিকে জোর দেওয়া দরকার, তা আগে একাধিক বার বলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। রফতানির চাকায় গতি আনতে বস্ত্র, মৎস্য, তথ্যপ্রযুক্তির মতো ১২-১৩টি ক্ষেত্রকে চিহ্নিতও করা হয়েছে। এ দিন গয়াল জানান, সামগ্রিক রফতানি বৃদ্ধির জন্য আরও বেশি পণ্যকে রফতানি প্রকল্পের আওতায় আনতে হবে। কারণ, বিশ্ব বাণিজ্যে এমন অনেক ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে ভারতের অংশগ্রহণ নামমাত্র।
গয়ালের যুক্তি, পরিষেবা ক্ষেত্রে এখন সরকারি ভর্তুকির সুবিধা পাচ্ছে দেশের ২২০০টি সংস্থা। যার মধ্যে কয়েকটি সংস্থা এতই বড় যে, তাদের ভর্তুকি দেওয়ার কোনও অর্থই হয় না। অথচ, ওই সংস্থাগুলি ভর্তুকির সুযোগ নিয়ে হাজার-হাজার কোটি টাকা মুনাফা করে বেরিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সূত্রের খবর, ২০১৮-১৯ সালে এসইআইএস প্রকল্পের আওতায় ৪২৬২.৮ কোটি টাকা ছাড় পেয়েছে পরিষেবা ক্ষেত্রের রফতানিকারীরা।
গয়ালের পরামর্শ, পর্যটনের মতো ক্ষেত্রের উন্নতিতে ওই ভর্তুকি ব্যবহার করা যেতে পারে। কারণ, পর্যটন শিল্পের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে যার অনেকটাই অধরা রয়ে গিয়েছে।
এ দিকে, জেলা স্তর থেকে বিভিন্ন রফতানি পণ্যের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে শুল্ক দফতর। রফতানির চাকায় গতি আনতে নীতি নির্ধারকেরা যাতে তথ্য নির্ভর সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তার জন্যই এই পদক্ষেপ বলে কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর পর্যদ জানিয়েছে।