ফাইল চিত্র।
দু’দিন থমকে থাকার পরেই ফের দাম বৃদ্ধি। কলকাতায় আইওসি-র পাম্পে আরও ৩৩ পয়সা বেড়ে সোমবার নতুন রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে গেল ডিজেল, লিটার পিছু ৮৪.৯০ টাকা। ২৫ পয়সা উঠে পেট্রল হল ৯১.৬৬ টাকা। নতুন উচ্চতা থেকে যা মাত্র কয়েক পা দূরে। এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি ছুঁয়ে ফেলা তার ৯১.৭৮ টাকা দাম এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
দৈনিক চার লক্ষ পেরিয়ে যাওয়া করোনা সংক্রমণ, ৪০০০ ছাপানো মৃত্যু, বিভিন্ন মহলের তরফে পূর্ণ লকডাউনের দাবি আর তেমন লকডাউনের বিরুদ্ধে একাংশের তীব্র বিরোধিতা নিয়ে যখন গোটা দেশ কাঁপছে, তখন তেলের দামের ফের নজিরবিহীন দৌড়ে কার্যত ক্লান্ত আমজনতা। তাঁদের দাবি, এর জেরে আগামী দিনে আখেরে ভুগবেন তাঁরাই। কারণ অতিমারির আবহে বহু মানুষের বিপর্যস্ত জীবন, আর্থিক সঙ্কট সত্ত্বেও জিনিসপত্র এবং খাদ্যপণ্যের দাম আগুন হবে। বাড়বে
যাতায়াতের খরচ।
ক্ষোভে ফেটে পড়ছে উৎপাদন এবং পরিবহণ শিল্পও। দুই জ্বালানির খরচই বাড়ায় পণ্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সতর্কও করছে তারা। সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বেশ কিছু দিন ধরেই ঘোরাঘুরি করছে ব্যারেল পিছু ৬৬ থেকে প্রায় ৬৮ ডলারের মধ্যে। তা হলে দেশে নাগাড়ে পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়ছে কেন? একাংশের সন্দেহ, বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণ তেলের চাহিদা কমাতে পারে আঁচ করেই কি দাম বাড়িয়ে আয়ের সংস্থান করছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি! যার হাত ধরে কর বাবদ রোজগার বাড়বে কেন্দ্র-রাজ্যেরও।