—প্রতীকী চিত্র।
ট্রাক ধর্মঘটে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পেট্রল-ডিজ়েলের জোগান ধাক্কা খেতে শুরু করেছিল। সংবাদ সংস্থা জানায়, মঙ্গলবার বিশেষত উত্তর ও পশ্চিম ভারতের বেশ কিছু জায়গায় পেট্রল পাম্পে তেল ফুরিয়ে যায়। বহু ক্রেতা জ্বালানি না পাওয়ার আশঙ্কায় তড়িঘড়ি তা কিনতে ছোটেন। ফলে অনেক পাম্পে গাড়ির লাইন লম্বা হতে থাকে। বিক্ষোভ-অশান্তিও হয় কিছু এলাকায়। হস্তক্ষেপ করতে হয় পুলিশকে। পশ্চিমবঙ্গের পাম্প মালিকদের বিভিন্ন সংগঠন সূত্র জানায়, দিনভর বিক্ষিপ্ত ভাবে সরবরাহ ব্যাহত হয় এ রাজ্যেও। কিছু পাম্প তেলশূন্য হয়। কেনার হুড়োহুড়িও পড়ে। তবে গোটা দেশে পরিস্থিতি আরও সঙ্কটজনক হওয়ার আগেই স্বস্তি ফেরে রাতের দিকে কেন্দ্রের সঙ্গে ট্রাক পরিবহণ সংগঠনগুলির বৈঠকে রফা সূত্র মেলায়। নিশ্চিন্ত হন পাম্প ও রান্নার গ্যাসের বন্টনকারী তথা বিক্রেতারা।
মোদী সরকারের আনা নতুন আইনে (ভারতীয় ন্যায় সংহিতা) পথ দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ট্রাক বা গাড়ির চালকদের গাফিলতি থাকলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে, তা একপেশে— এই অভিযোগ তুলে দেশ জুড়ে সোমবার থেকে তিন দিনের ধর্মঘট ডেকেছিল ট্রাক পরিবহণে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠন। এই পরিস্থিতিতে জ্বালানির জোগান নিয়ে দিনভর ভোগান্তির পরে রাতে স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভল্লা সর্বভারতীয় ট্রাক পরিবহণ সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বলেন, এখনও নতুন বিধি কার্যকর হয়নি। আলাপ-আলোচনার পরে নির্দিষ্ট নিয়মটি বলবৎ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আর প্রতিনিধিরা এই আশ্বাস পেয়ে বেরিয়ে এসে জানান, ‘‘আমরা আমাদের অধীন সংগঠনগুলির সঙ্গে কথা বলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করতে বলব।’’
রাজ্যের পাম্প ও রান্নার গ্যাস বিক্রেতাদের আশা, এ বার সমস্যা মিটবে। আজ তেল সংস্থাগুলির ডিপো থেকে ট্রাক চলাচল শুরু হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, দাবি ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট প্রসেনজিৎ সেন এবং ইন্ডিয়ান অয়েল ডিলার্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট জন মুখোপাধ্যায়ের। একাংশ বলছে, তেল সংস্থাগুলির কিছু বটলিং কারখানা থেকেগ্যাস সিলিন্ডার আসা বন্ধ থাকলেও, রাজ্যে গ্রাহকদের জোগানে সমস্যা হয়নি। যেটুকু আশঙ্কা ছিল, তা-ও দূর হয়েছে।