ফাইল চিত্র।
বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দর দিন সাতেক ধরে প্রায় একই জায়গায় আটকে। অথচ ভারতে পেট্রলের-ডিজেল কার্যত দৌড়চ্ছে। এ বছরে এখনও পর্যন্ত দৈনিক দরের হিসেবে শিখর ছুঁয়েছে পেট্রল। বস্তুত, কলকাতায় ইন্ডিয়ান অয়েলের পাম্পে লিটার পিছু ওই পণ্যের দর হয়েছে গত ১০ মাসের সর্বোচ্চ। ডিজেল হয়েছে গত ছ’মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। বিরোধী দল-সহ বিভিন্ন মহলের দাবি, বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহার করে পেট্রল-ডিজেলের দাম কমাক কেন্দ্র।
দিন দশেক আগে সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থা অ্যারামকোর শোধনাগারে জঙ্গি হানা হয়েছিল। তার পরে বিশ্ব বাজারে এক লাফে অনেকটা বাড়ে যায় তেলের দাম। আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রল-ডিজেলের দামও বাড়ে। পাশাপাশি ডলারের সাপেক্ষে টাকার দাম কমায় সব মিলিয়ে দেশের বাজারেও চড়তে থাকে পেট্রল-ডিজেল। মঙ্গলবারই টাকার সাপেক্ষে ডলারের দাম ৭ পয়সা বেড়েছে।
এরই মধ্যে সৌদির আশ্বাসে তেলের জোগানের অনিশ্চয়তা কিছুটা কমেছে। যার ফলে গত এক সপ্তাহে অশোধিত তেলের দর কমেছে ব্যারেল প্রতি প্রায় ৫ ডলার। অথচ ভারতে পেট্রল-ডিজেলের দর ঊর্ধ্বমুখী। কলকাতায় ইন্ডিয়ান অয়েলের পাম্পে মঙ্গলবার পর্যন্ত গত ন’দিনে লিটার পিছু পেট্রলের দর বেড়েছে ২.০৬ টাকা। ডিজেলের ১.৬৫ টাকা। হয়েছে যথাক্রমে ৭৬.৮২ টাকা এবং ৬৯.৪৯ টাকায়। যদিও আজ, বুধবার কলকাতায় দাম অপরিবর্তিত থাকছে বলে ইন্ডিয়ান অয়েল সূত্রের খবর।
এর আগে বাজেটে পেট্রল-ডিজেলে বাড়তি উৎপাদন শুল্ক ও সেস বসিয়েছিল কেন্দ্র। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির অভিযোগ, ২০১৪ সাল থেকে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কম থাকার সুযোগ নিয়ে বাড়তি শুল্ক বসিয়ে আয় বাড়িয়েছে কেন্দ্র। ফলে তখন দেশের বাজারে পেট্রল-ডিজেলের দামও বেড়েছে। বিরোধীদের বক্তব্য, অশোধিত তেলের দর লাগামে থাকার সময়ে দেশে কর কম থাকলে তেলের দামও কম হত। কিন্তু অধিকাংশ সময়েই সেই সুবিধা মেলেনি। এখন যা অবস্থা, তাতে বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিও ফের উঠছে সংশ্লিষ্ট মহলে।