প্রতীকী ছবি।
পূর্ণাঙ্গ লকডাউন আর নয়। রাজ্য মনে করলে স্থানীয় ভাবে লকডাউন করতে পারে কিছু কিছু জায়গায়— অর্থনীতিকে সচল রাখার উদ্দেশ্যে মোদী সরকারের ভাবনাচিন্তা আপাতত এমনই। কিন্তু কেন্দ্র যা-ই বলুক না-কেন, অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে উদ্বেগ ছড়িয়েছে যথেষ্ট। সেই উদ্বেগ দূর করতেই বিভিন্ন বণিকসভার সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কিন্তু মূল্যায়ন সংস্থা ক্রিসিলের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, স্থানীয় লকডাউনেরই বিরূপ প্রভাব পড়ছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে।
বিভিন্ন শিল্প ক্ষেত্র ও বণিকসভাগুলি আগেই জানিয়েছিল, লকডাউন বিক্ষিপ্ত হলেও তার বিরূপ প্রভাব পড়বে কর্মীদের যাতায়াতে এবং কাঁচামাল পরিবহণে। কেনাকাটা কমবে সাধারণ মানুষের। ক্রিসিলের রিপোর্টে দাবি, ঠিক সেটাই এখন ঘটতে শুরু করেছে। বিভিন্ন ব্যবসায় বিক্রিবাটা কিছুটা কমেছে। ফের কমেছে বিদ্যুতের চাহিদা এবং ই-ওয়ে বিল। ঠিক যেগুলির মাথা তোলাকে একটা সময়ে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ বলে দাবি করেছিল কেন্দ্র। মূল্যায়ন সংস্থাটির বক্তব্য, এখন লক্ষ্য রাখতে হবে এই প্রবণতা সাময়িক নাকি দীর্ঘমেয়াদি। তবে উৎপাদন এবং নির্মাণ ক্ষেত্র বিঘ্নহীন থাকাকে অর্থনীতির পক্ষে ইতিবাচক বলে জানিয়েছে তারা।
রিপোর্টে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, ১১ এপ্রিল প্রতি ১০ লক্ষ মানুষের মধ্যে প্রতিষেধক প্রয়োগের হার যেখানে ছিল ২৫৫৪, সেখানে ১৮ এপ্রিল তা দাঁড়িয়েছে ২৪০৮। এই হার আরও বাড়াতে হবে বলে পরামর্শ দিয়েছে মূল্যায়ন সংস্থাটি।
অন্য দিকে, দেশের বাণিজ্যের ভরকেন্দ্র মহারাষ্ট্র কোন পথে যাচ্ছে সে দিকে তাকিয়ে রয়েছে সব মহল। আজ, বুধবার সে রাজ্যের সরকার ‘গুরুত্বপূর্ণ’ কিছু ঘোষণা করতে পারে বলে ইঙ্গিত। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেখানে স্থানীয় যে বিধিনিষেধ রয়েছে, তার কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন খুচরো ব্যবসার সংগঠন রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার (আরএআই) সিইও কুমার রাজাগোপাল। তাঁর বক্তব্য, অত্যাবশ্যক পণ্যের বিপণি খোলা রাখার সময়সীমা নিয়ন্ত্রণ করায় সেখানে উল্টে বাড়তি ভিড়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ক্রেতাদের কেনাকাটির সময়ও কমেছে। তাঁর কথায়, ‘‘এই বিধির ফলে গোটা ব্যবস্থার পরিচালনা ও জোগান শৃঙ্খলে সমস্যা হতে পারে। আতঙ্কের কেনাকাটায় বাড়তে পারে মজুতের প্রবণতা।’’