জিএসটি বাড়ানোর দাওয়াই কমিটির 

রাজ্যগুলির আয় পর্যাপ্ত না হলে সেই ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে সংবিধান সংশোধন করে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কেন্দ্র।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:০১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

দেশের অর্থনীতির ঝিমুনির জেরে বাজারে বিক্রিবাটায় ভাটা। জিএসটি ও সেস বাবদ কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির আয় কমছে। ফলে রাজ্যগুলিকে প্রতিশ্রুত ক্ষতিপূরণ মেটানো নিয়ে সংশয়ে কেন্দ্র। এই অবস্থায় কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির অফিসারদের নিয়ে গড়া কমিটি কিছু ক্ষেত্রে কর বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে। জিএসটির আওতার বাইরে থাকা পণ্যের তালিকাও কিছুটা ছাঁটাই করে আয় বাড়ানোর পথ খুঁজতে বলেছে তারা।

Advertisement

রাজ্যগুলির আয় পর্যাপ্ত না হলে সেই ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে সংবিধান সংশোধন করে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কেন্দ্র। অর্থ মন্ত্রকের অনুমান, ২০১৯-২০ সালের শেষে সেই ক্ষতিপূরণ বাবদ রাজ্যগুলিকে প্রায় ১.৬০ লক্ষ কোটি টাকা দিতে হবে। কিন্তু বছরের শুরুতে সেস তহবিলে ৪৮ হাজার কোটি টাকা থাকার পরে এ বারে সেই খাতে আরও ৯৭ হাজার কোটি টাকা আয় হবে। ফলে তার পরেও প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি থাকার সম্ভাবনা।

এই অবস্থায় জিএসটির হার খতিয়ে দেখতে কেন্দ্র ও রাজ্যস্তরের অফিসারদের নিয়ে ওই কমিটি গঠন করা হয়। আলোচনায় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষ তাদের মত জানিয়েছে কমিটিকে। গত ১৮ ডিসেম্বর বিভিন্ন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে ওই কমিটি।

Advertisement

সূত্রের খবর, মাছ, মাংস, ডিম, মধু, দুগ্ধজাত পণ্য, আনাজ, ফল-সহ আরও অনেক পণ্য জিএসটি আওতায় নেই। সেই ছাড়ের তালিকা কাটছাঁট করার সুপারিশ করেছে কমিটি। কিছু ক্ষেত্রে করের হার বাড়ানোর (৫% থেকে ১২% এবং ১২% থেকে ১৮%) দাওয়াই দিয়েছে তারা।

ইতিমধ্যে কিছু পণ্যের জিএসটি ২৮% থেকে কমিয়ে ১৮% করা হয়েছে। অফিসারদের কমিটি সেই সব ক্ষেত্রে করের হার পুনর্মূল্যায়ণেরও পরামর্শ দিয়েছে। সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট মহলের কাছ থেকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে কিছু ক্ষেত্রে জিএসটি বসানোরও পরামর্শ রয়েছে। জিএসটি পরিষদ গত সপ্তাহের বৈঠকে ওই কমিটির সুপারিশ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement